চলতি মাসের ১৮ তারিখে উত্তর কাশীপুর থানায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার পোলেরহাট/হাতিশালা থানা এলাকার এক ১৯ বছরের বাসিন্দা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, ৯ অক্টোবর শোনেপুর বাজারের পার্কিং লটে নিজের বাইক রেখে যান তিনি। কিন্তু ১৮ তারিখ দুপুর তিনটের দিকে বাইক ফেরত আনতে গিয়ে দেখেন, বাইকটি উধাও হয়ে গেছে।
তদন্তের মোড় ঘোরালো সিসিটিভি ফুটেজ
ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, এক অপরিচিত ব্যক্তি বাইকটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও তার চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি, তবে তার কাঁধে জড়ানো চেক-চেক স্কার্ফ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল। এই সামান্য সূত্রের ভিত্তিতে তদন্তের জাল ছড়াতে থাকে।
থানার সোর্স নেটওয়ার্কের কার্যকর ভূমিকা
উত্তর কাশীপুর থানার সক্রিয় সোর্স নেটওয়ার্কে এই তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার মিনাখাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা কাশেম গাজি (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়।
উদ্ধার হল ছ’টি বাইক
কাশেম গাজির কাছ থেকে ইতিমধ্যে ছ’টি চুরি করা বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আরও বাইক চুরির সাথে তার যোগসূত্র থাকতে পারে। বিভিন্ন থানার অফিসাররা তাকে জেরা করে জানতে চাইছেন, আরও বাইক চুরির ঘটনায় সে জড়িত কিনা।
প্রতারক চক্রের সন্ধান
এই ঘটনার পর পুলিশ মনে করছে, কাশেম গাজির সাথে একটি বড় বাইক চুরির চক্র জড়িত থাকতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনা সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে এবং পুলিশের কড়া নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের সফল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্র ও ছবি : কলকাতা পুলিশ