২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি শুরু, সভাস্থল পরিদর্শনে তৃণমূল নেতারা


বৃহস্পতিবার,০৪/০৭/২০২৪
1751

শুধু শহীদ স্মরণ নয়, লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্যের পর রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর সমাবেশ। একুশে জুলাই সমাবেশ ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি তৃণমূল শিবিরে। বুধবার সভাস্থল পরিদর্শন করলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সহ অন্যান্য নেতারা। তৃণমূল নেতারা এক প্রস্থ আলোচনা করলেন পুলিশের সঙ্গেও।
হাতে আর মাত্র দু সপ্তাহ। ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই সমাবেশ সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সমাবেশের প্রস্তুতির নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব গত শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের একটি পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে নিয়ে আসে। বুধবার একুশে জুলাই এর সভাস্থল পরিদর্শন করেন সুব্রত বক্সীসহ তৃণমূলের একাধিক নেতা। পুলিশের সঙ্গেও এক প্রস্থ আলোচনার সারেন তাঁরা। সভার মঞ্চ কোথায় হবে, কত বড় হবে, কত উচ্চতা হবে এইসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবছর মূল মঞ্চের পাশাপাশি বিশিষ্ট জনদের জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়। এই মঞ্চ তৈরীর কাজ সমাবেশের অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে যায়। এবারও যে তার ব্যতিক্রম ঘটবে না তা তৃণমূল নেতৃত্বের কথা থেকেই স্পষ্ট। এদিন সভাস্থল পরিদর্শন শেষে তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা নির্বাচনে দলের বিরাট সাফল্যের পর এবারের এই সমাবেশ আলাদা তাৎপর্য বহন করে।


২১ জুলাই এর সমাবেশের একটা ইতিহাস রয়েছে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের গুলিতে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ১৩ জন শহীদ হয়েছিলেন। কলকাতার রাজপথ রক্তে লাল হয়। সেই শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় সভায়। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর ২১ জুলাইয়ের হাত ধরে বড় কোন সমাবেশ হতে চলেছে তৃণমূলের। শহীদ স্মরণের পাশাপাশি এই দিনে সাধারণ মানুষকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার এক-দু’দিন আগেই উত্তরবঙ্গ ও দূরবর্তী জেলা থেকে মূলত ট্রেনে কলকাতায় পৌঁছে যাবেন কর্মী-সমর্থকরা। উত্তরবঙ্গের নেতারা শুরু করেছেন ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের প্রক্রিয়া। জেলায় জেলায় বাস, ট্রেন, গাড়ির বুকিং শুরু করেছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতৃত্ব।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট