বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শৃঙ্খলা সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে অল্প বা মাঝামাঝি হয়ে যাওয়া একটি বিষয়। তবে, কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রী তাদের সাহসিক প্রযোগশীলতা এবং অদম্য কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন অংশে নিজেদের নিয়ে তোলা সফলতার কাহিনী লিখে ফেলেছেন। একেবারে এই প্রতিভাবান অভিনেত্রী পাওলি দামের নাম এখন ঢাকার চলচ্চিত্র পরিবারে এক নতুন উজ্জ্বল স্থানে অবস্থান করছে।
পাওলি দাম, কলকাতার এক অভিনেত্রী, যার ব্যাক্তিগত চরিত্র ও অভিনয়ের ক্ষমতা ঢাকায় একাধিকবার দর্শকদের মন জুড়িয়েছে। তিনি শাকিব খানের সঙ্গে ‘স্বত্বা’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এখন, এক নতুন চলচ্চিত্রে ‘নীল জোছনা’ নামে, পাওলি আবার কামনা করা হচ্ছে। এই নতুন ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান।
ছবিতে অভিনয় করার আগেই পাওলি দামের কাছে ছবির অফার প্রাপ্তি হয়েছে। তার অভিনয়ের জন্য ছবিটির নির্মাতাদের তার সাথে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। এই ছবিতে সরকারি অনুদানের ছবিটি ইরমান হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। ছবির নির্মাতা জানাচ্ছেন, পাওলির বিপরীতে বাংলাদেশের একজন অভিনয়শিল্পী অভিনয় করবেন। তবে তাকে এখনও নির্বাচন করা হয়নি।
পাওলি দাম এই ছবিতে যে ভূমিকায় অভিনয় করবেন, তা নিয়ে উপালক্ষে তিনি অত্যন্ত উৎসাহী। তার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি এই ছবিতে যে চরিত্রের অভিনয় করবেন, সেটি তার অভিনয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই আগ্রহজনক। তিনি মনে মনে মনে মানে যে বিশেষ নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, সেই চরিত্রটিই তার মন জয় করেছে।
এই অভিনয়ের পাশাপাশি, ছবিতে কাজ করার আগে পাওলি দাম বইয়ের গল্প পড়েছিলেন এবং তার থেকে প্রভাবিত হন। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ছবিটির সাথে সেদিন থেকেই জড়িত হয়ে আছি। আশাবাদী তিনি বলেন, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারবো। আগামী মাসের শেষ দিকে ছবির শুটিং শুরু হয়ে একটানা চলবে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।
পাওলি দামের আবির্ভাব এবং তার পরিশ্রমের প্রতি প্রশংসা জানা প্রয়োজন যেন না। তার সফলতার প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা জানানো অপেক্ষিত। আমরা প্রত্যাশা করি তার অভিনয় জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে অনেক উজ্জ্বল ক্ষমতার সাথে চেষ্টা করতে থাকবেন। সফলতা ও সুস্থির অভিনয়ের জন্য তার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই।