ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছে, ধর্ম পরিবর্তন একজন ব্যক্তির স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে। তবে তার নির্দিষ্ট কারণ জানাতে হবে। এবং তা আইনি পথে হতে হবে। ওই পর্যবেক্ষণে স্পষ্টই বলা হয়েছে নিজের ইচ্ছে হলেই নিজের ধর্ম পরিবর্তন করা আইনত সিদ্ধ নয়। সম্পূর্ণভাবে আইন মোতাবেক হতে হবে তা। অন্যথায় তা গ্রাহ্য হবে না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, “ধর্ম পরিবর্তনের জন্য, একটি হলফনামা বাধ্যতামূলকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। তারপরে, সেই এলাকায় বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমে তা বিজ্ঞাপন আকারে দিতে হবে। তিনি ধর্ম পরিবর্তন করছেন তা ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তার ধর্ম পরিবর্তনে যে এলাকার সাধারণ মানুষের কোন আপত্তি নেই তা ওই বিজ্ঞাপন থেকে স্পষ্ট হতে হবে।”
অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ঘটে গায়ের জোরে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। অবৈধ বা অসৎ কোন কারণে ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা যাতে না হয় সে কারণেই যে কোন ধর্ম পরিবর্তন আইনত সিদ্ধ হওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে এলাকার মানুষকে জানাতে হবে তিনি ধর্ম পরিবর্তন করছেন। সেক্ষেত্রে এলাকার মানুষের যদি তাতে আপত্তি থাকে সেই মতামত উঠে আসবে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ঐ পর্যবেক্ষণে আরো বলেছে যে ব্যক্তি ধর্ম পরিবর্তন করতে চান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নাম বয়স ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।
তারপরে, জাতীয় গেজেটে বিজ্ঞপ্তি থাকতে হবে, যা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রকাশিত অনলাইন রেকর্ড। গেজেট আবেদন করলে দাখিল করা হলে, বিভাগটি নিবিড় ভাবে আবেদনটি বিচার করবে এবং একবার তারা নিশ্চিত হবে যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। ধর্ম পরিবর্তনের আবেদনটি ই-গেজেটে প্রকাশ করা হবে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের একটি বেঞ্চ ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। ওই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিবর্তন করার ইচ্ছার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ প্রয়োজন। এই ধরনের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট প্রকাশ্য পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।