দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতগাছিয়া এলাকার এক বিজেপি নেতার ছেলে নিখোঁজ হয়। এই নিয়ে সরগরম হয় বঙ্গরাজনীতি। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল ওই বিজেপি নেতাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল পুলিশ। অবশেষে নিখোঁজ ওই কিশোরের সন্ধান মিললো। ওড়িশার পুরীতে সন্ধান মিলল তার। পরিবার সূত্রেই একটি ফোন আসে। সেই ফোনের সূত্র ধরে খোঁজ মিলেছে ওই কিশোরের। এর পিছনে অপহরণের কোন ঘটনা নেই এমনটাই জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুরী থেকে ওই কিশোরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজেপি তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তার কোন সত্যতা মেলেনি।
পুরীতে খোঁজ মিলল ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি নেতার ছেলের। পরিবারের সূত্রেই খোঁজ মিলেছে। পরিবারের দাবি তাদের কাছে একটি ফোন আসে। আর সেই ফোনের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে ওই কিশোরের। উল্লেখ্য, দলবদলের জন্য চাপ দিয়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তার তোলা অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) রূপান্তর সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন । নিখোঁজ কিশোরের বাবা-মাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পান্ডা। সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। ভোটের মুখে ইচ্ছাকৃতভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। অবশেষে ওই কিশোরের সন্ধান মিলল।