Categories: জাতীয়

ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ, মুক্তিপণ ৩০ লাখ! তদন্তে উঠে এল বড় রহস্য

এক যুবতি অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ। ঘটনার তদন্তে পুলিশ বিশেষ টিন গঠন করেছে। সত্যিই অপহরণ না এর পেছনে রয়েছে গভীর রহস্য তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই যুবতীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বলেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মেয়ের হাত-পা বাধা ছবি অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই যুবতীর বাবা। ঘটনার তদন্তে মধ্যপ্রদেশের কোটা থানার পুলিশ। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ অনেকগুলি সূত্র পেয়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যেই ওই যুবতীর এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সূত্র ধরে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। পুলিশে প্রাথমিক অনুমান এই ঘটনার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র মূলক কাজ। অপহরণের বিষয়টি পুরোটাই সাজানো। তবে এখনই নিশ্চিত করে পুলিশের তরফ থেকে তদন্তের গতি প্রকৃতি স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

গত ১৮ মার্চ মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীতে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগে মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন কোটায় একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তার মেয়েকে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইন্দোর শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ওই যুবতীর পরিবার বসবাস করে। ইন্দোরে ওই যুবতীর দুই বন্ধুর বাসস্থান। যুবতীটি বন্ধুদের সঙ্গে ইন্দোরেই থাকছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এ বন্ধুর একজনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই যুবতীর বন্ধুটির দাবি অপর বন্ধুর সঙ্গে বিদেশে যেতে চেয়েছিল যুবতীটি। তাতে রাজি ছিল না তার পরিবার। বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য মোটা টাকার দাবি করা হয় পরিবারের কাছে। সেই টাকা দিতে রাজি হননি যুবতীটির বাবা-মা। কোটায় বা তার পার্শ্ববর্তী কোন এলাকায় কোন ইনস্টিটিউটে ওই যুবতী ভর্তি হয়নি বলে পুলিশে তদন্তে উঠে এসেছে। ওই যুবতী ও তার বন্ধুরা মিলে অপহরণের ছক সাজিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিদেশে পড়তে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতেই বাবা-মায়ের কাছে অপহরণের নাটক করা হয়েছিল। এমনকি হাত-পা বাঁধা যে ছবি পাঠানো হয় তাও সাজানো বলে দাবি পুলিশের। অপহরণের ঘটনা পরিবারকে বিশ্বাস করাতেই ওই ছবি পাঠানো হয়েছিল। এক বন্ধুর ইন্দোরের ফ্ল্যাটে হাত-পা বাঁধা ছবিগুলো তোলা হয়। পরে সেই ছবি পাঠিয়ে দেয়া হয় বাবা-মায়ের কাছে। আর সেই সঙ্গে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কোটার পুলিশ সুপার অমৃতা দুহান জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে গোটা ঘটনা সাজানো। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া এখনো চলছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তার সন্ধান চলছে। দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া গুটিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন দোহাল

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…

4 days ago

ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন

আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…

4 days ago

তারা আর কোনো চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবে না

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…

4 days ago

গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…

4 days ago

‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি :সুকান্ত

রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…

4 days ago

বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে নিবন্ধিকৃত হতে হবে

সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…

4 days ago