পিছন থেকে ধাক্কা খেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ? কে দিলো ধাক্কা ?


বৃহস্পতিবার,১৪/০৩/২০২৪
457

ট্রেড মিলে এক্সারসাইজ করার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে। নাকেও একটি সেলাই পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দ্রুত মেডিকেল টীম গঠন করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় পরীক্ষা করেন। রাতে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মত রাতেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত চিকিৎসকদে পর্যবেক্ষণে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পিছন থেকে ধাক্কা খেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কপাল ফেটে রক্ত বের হয়। নাকে আঘাত পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের বাসভবনে পড়ে গিয়ে কপালে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে বলে জানান অভিষেক। প্রথমে হাসপাতালের কেবিন থেকে বার করে হুইল চেয়ারে মমতাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম লাগোয়া বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের ওপিডি বিল্ডিংয়ে। সেখানে সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক পরীক্ষা করা হয় তাঁর। কিছু ক্ষণ পর সেখান থেকে তাঁকে বার করে গাড়িতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় কালীঘাটের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে।
গাড়ির সামনের আসনেই বসেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছনের আসনে বসেন অভিষেক। গাড়ি থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করতে দেখা যায় তাঁকে। চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন বলে খবর। অর্থাৎ, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার খবর পেয়েই এসএসকেএম হাসপাতালে ভিড় জমান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। সকলের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে মাথায় চোট পেলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচনে বালিগঞ্জের একডালিয়ায় এসেছিলেন। সেখানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে উঠেছিলেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তার চোখ দিয়ে জল পড়তে দেখা যায়। কথা বলতে বলতে মুখ ভার হয়ে আসছিল। ওই অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই প্রতিদিনকার মতো এক্সারসাইজ করছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট