রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সমাবেশ থেকে কড় নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিধানসভার অধিবেশনে বিধায়কদের উপস্থিতির উপর বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই বার্তার পর দিনই বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিন পরিষদীয় দলের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় সহ দলের বিধায়করা। বৈঠকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় বিধায়কদের। বিনা কারণে অধিবেশনে কোন বিধায়ক যোগ না দিলে দলীয় শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কেউ উপস্থিত হতে না পারলে আগে থেকে দলকে জানাতে হবে। অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে সকল বিধায়ককে। বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নিতে হবে দায়িত্বের সঙ্গে। এলাকার মানুষের কথা তুলে ধরতে হবে বিধানসভায়। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে উপস্থিতি জানান দিতে হবে। যে কোন বিষয়ে বিরোধীরা ভোটাভুটি চাইলে শাসক পক্ষের উপস্থিতিতে জবাব দিতে হবে প্রতিপক্ষকে।
বিধায়করা যেমন বিধানসভার খাতায় সই করে অধিবেশনে যোগ দেন সেই সঙ্গে এবার পরিষদীয় দলের খাতাতেও সই করতে হবে। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানান, বিধায়কদের উপস্থিতি এক সপ্তাহের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখে জমা দেবেন তিনি।
বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে এবার কড়া মনোভাব বিধানসভারও। বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতি আর তাদের ঢোকার সময় রেকর্ড এর ব্যাবস্থা করলেন স্পিকার। সমস্ত বিধায়কদের অ্যাটেনডেন্স শিট এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে । যেখানে সাইন আর সময় দিয়ে প্রত্যেক বিধায়ক দের উপস্থিতি রেকর্ড করতে হচ্ছে।
বেশ কিছু সেশন ধরেই বিশেষত শাসক দলের বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে বেজায় চটে ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বিমান ব্যানার্জী বারংবার অনুরোধ করেছেন অধিবেশনের দিন গুলো অন্তত যাতে সব বিধায়করা উপস্থিত থাকেন বিধানসভায়।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা অধিবেশনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশও দিয়েছেন বিধায়কদের বিধায়সভায় উপস্থিত থাকার জন্য। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন বিজেপি জে কোনো সময় যা ইচ্ছে করতে পারে ফলে তাদের মোকাবিলায় বিধায়করা যাতে উপস্থিত থাকে। নিজেদের ইম্পর্ট্যান্ট মনে করার কিছু নেই। মানুষের কথা , এলাকার সমস্যা বিধানসভায় তুলে ধরা প্রত্যেক বিধায়কদের কর্তব্যের মধ্যে পরে। তারপরেই নড়ে চড়ে বসেছেন speaker। সময় সহ লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে বিধায়কদের। মনে করা হচ্ছে এই লিস্ট রিপোর্ট আকারে পৌঁছাবে নেত্রীর কাছে।
শুক্রবার থেকে বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। মূলত দুটো বিল জি এস টি আর বিধায়ক মন্ত্রীদের মায়নে বৃদ্ধি বিষয়ক বিল এই অধিবেশনে পেশ করার কথা। মঙ্গলবার মানে 28 নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা আছে বিধানসভায়।
পশ্চিম বাংলার একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি আসন্ন 📍 কলকাতা, ১৭ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।…
আজ, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, আমরা উদযাপন করছি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি কেবল তাঁর…
১০ জানুয়ারি ২০২৫ এর বই মেলা উপলক্ষে বাজারে এসেছে কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম…
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল ও সিকিমের আবহাওয়া রইবে বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল। পার্বত্য অঞ্চল ও…
রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা জারি করল…
জাতীয় নির্বাচন কমিশন আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে। দুপুর ২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের…