পুজো শান্তিতে কেটেছে। সবাইকে ধন্যবাদ। মানুষের উন্মাদনা ছিল, সকলে উৎসব উপভোগ করেছেন।ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমীক্ষা বলছে ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ধারনা সংখ্যাটা ৮০ হাজার কোটি।শহর থেকে জেলা সবাই ভাল আয়োজন করেছে।কার্নিভাল ভাল হয়েছে। কিন্তু বাংলার সংবাদ মাধ্যম দেখায়নি। জেলার কার্নিভাল যোগ করলে বিশ্বের যে কোনও কার্নিভাল কে ছাড়িয়ে যাবে। আমি নবান্নে আসিনি বলে খবর হয়েছে। আমি বাড়ি থেকে অফিস করেছি। আমার ভুল চিকিৎসায় পায়ে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। স্যালাইন চলছিল। কিন্তু নিয়মিত নবান্ন থেকে ফাইল গেছে। নজরদারি চালিয়েছি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এখনো ১০০ দিনের টাকা পাইনি।ছোট মিনিস্টার দেখা করব বলেও দেখা করেনি। রাজ্যের নায্য পাওনার দাবিতে আন্দোলন জারি থাকবে। মমতা বলেন, ১০০ দিনের টাকা না পেলে ভাইফোঁটার পর ১৬ নভেম্বর সবাইকে নিয়ে মিটিং হবে। আবাসনের টাকাও বন্ধ করেছে। কোনো একটা রাজ্যকে এরকমভাবে শূন্য করে দেওয়া যায় না। মানুষ জবাব দেবে। সংবাদ মাধ্যম ভোট দেয় না, দেয় মানুষ। জিএসটির ভাগ আমাদের প্রাপ্য। সেই টাকাও দিচ্ছে না। ১ লা নভেম্বর হয়ে গেল কিন্তু ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কিছু হয়নি।
বাংলার উন্নয়ন, সব রাস্তা আমরা নিজেদের টাকায় করছি। সিএসআরে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছি।গ্রামীণ ক্ষেত্রে কাজে লাগাবো। কয়লা নেই উৎসবে, আলো জ্বলবে না। বাইরে থেকে কিনতে গেলে দাম বেশি পরে। কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়েও সোচ্চার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ভোটের আগে সবাইকে জেলে ভরবে। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। বিজেপির রাজ্যে কোন দুর্নীতি নেই?
নাম বদল নিয়ে ফের কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ইলেকশন কমিশনকে ধন্যবাদ।ইন্ডিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড় সেই সময় এই প্রথম মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, লেফ্ট ফ্রন্টের আমলে ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। বাতিল করতে ৭-৮ বছর লেগেছে। ফুড কর্পোরেশন চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন কৃষকদের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। কিছু রেশন দোকান বাতিল করতে চেয়েছিলাম।আদালতের রায়ের জন্য পারিনি। কোভিডে কোনো অসুবিধা হয়নি। আমরা ১০০ শতাংশ ডিজিটাল কার্ড করে দিয়েছি। বামফ্রন্টের আমলে হওয়া কোনো চাকরি বাতিল করিনি। আমরা সারদা কর্তাকে গ্রেফতার করেছিলাম। এক তরফা একটা পার্টিকে দোষ দিয়ে যাচ্ছ। ক্ষমতায় যখন থাকবেন না তখন সব বেরোবে। আমরাও কাগজ বের করছি। হলদিয়ায় কোন জমি কততে বিক্রি হয়েছে তার কি আমরা জানতে চেয়েছি। এখানে বিজেপির কতজন সাধু পুরুষ আছে। যারা বলছে তাদেরও বেনামী সম্পত্তি আছে। আমরাও তদন্ত করতে পারি। মানুষ জবাব দেবে। আমরা তৈরি আছি। লড়কে লেঙ্গে ইন্ডিয়া। ক্লাবগুলো সামাজিক কাজ করে তাই টাকা দিয়েছি। আমাদের টাকা অধিকাংশই আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। ৫৫ দিন আমি না থাকায় কোনো কাজ বাকি থাকেনি। আমি মাইনে নিই না । ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস দিই। ছুটি নিতেই পারি। স্পেনের সফর সরকারি ছিল। ডিস্ক্রেডিট আমার, ক্রেডিট সবার।
দেশকে কখনো ছোট করতে পারবো না। যখন সব শেষ হবে তখন মুখ খুলব।