কয়েক ঘন্টার ব্যবধান, তৃণমূলের দাবিসনদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। বাংলার ১০০ দিনের কাজের পাওনা টাকা নিয়ে তৃণমূলের দাবিসনদ কেন্দ্রকে জানালেন রাজ্যপাল বোস। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই বাংলার বকেয়া নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ ও হিসেব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রাজ্যপাল জানান, আমার কাছে ৯ অক্টোবর জমা দেওয়া স্মারকলিপি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। রাজ্যপালের চিঠি পাওয়ার পর তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবে বকেয়া আদায়ের আন্দোলনের পথে প্রাথমিক জয় হয়েছে। এখনও অনেক পথচলা বাকি ।
এ-রাজ্যের গরিব মানুষগুলির ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা আদায়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে গণ-আন্দোলন।
সোমবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যু নিয়ে বৈঠক হয় রাজ্যপালের। তার পরেই সন্ধ্যার বিমানে তিনি রওনা হয়ে যান রাজধানীর উদ্দেশ্যে। রাজ্যপালের চিঠি তুলে ধরে নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই— বাংলার জনগণের স্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরার জন্য। বিশেষ করে ১০০ দিনের কাজে ২১ লক্ষের বেশি মানুষের বকেয়া টাকা আদায়ে রাজ্যপালের দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য।
সোমবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকে রাজ্যপালের আশ্বাসে ধর্না-অবস্থান তুলে নেয় তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন থেমে থাকবে না। যদি রাজ্যপাল তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে সদর্থক কথা না বলেন আবার পথে নামছেন। এবার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ১ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হবে। ৩১ অক্টোবর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এখন দেখার রাজ্যপালের এদিনের বৈঠকের পর কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেয়।