মানুষের মুখে হাসি না ফোটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: অভিষেক


শনিবার,০৭/১০/২০২৩
835

রাজভবনের সামনে ধর্না অবস্থান শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন রাজভবন অভিযানে। সেই সময় রাজভবনে ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি আবার দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল। রাজভবনের সামনে থেকে রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেন রাজ্যপাল রাজভবনে না ফেরা পর্যন্ত এবং তাদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত অবস্থানে বসলেন। সারারাত তিনি অবস্থান মঞ্চে বসে থাকবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। বৃহস্পতিবার রাত গড়িয়ে সকাল হয়। আবার শুক্রবার রাত। মঞ্চে ঠাঁই বসে আছেন অভিষেক।এখনো কলকাতায় ফেরেননি রাজ্যপাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনঢ়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপাল তাদের কথা না শোনা পর্যন্ত উঠবেন না। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাদের কথা শোনেননি। সময় দিয়েও পালিয়ে গিয়েছেন। উল্টে তাদের আটক করে দূরবর্তী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ করার পরও সাধারণ মানুষ টাকা পাননি। ২০ লক্ষ মানুষ কাজ করেও টাকা পাননি। আবাস যোজনায় নাম থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ বাড়ি পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে টাকা আটকে রেখেছে। এর প্রতিবাদ চলবে। শুক্রবার রাজভবনের সামনের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি এই তৃণমূল নেতার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইন্দ্র গায়ের জোরে ঢাকা আটকে রাখতে পারেন না। মানুষের ন্যায্য পাওনা এইভাবে আটকে রাখতে পারেন না। কোন আইনে এই টাকা আটকে রেখেছে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তৃণমূল নেতা বলেন, এই অবস্থান চলবে। রাজ্যপাল কত দিন রাজভবন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াবেন? তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতেই হবে রাজ্যপালকে। কোন যুক্তিতে কেন বাংলার মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। যারা তাদের পরিশ্রম দিয়েছেন তাদের টাকা কেন আটকে রাখা হয়েছে জবাব দিক কেন্দ্র। অভিষেক বলেন, মানুষের মুখে হাসি না ফোটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সাধারণ মানুষের ঢল ছিল রাজভবনমুখি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারন মানুষ দলে দলে যোগদান করেন অবস্থান মঞ্চে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছিলেন সেই সব বঞ্চিত মানুষেরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও শক্তি জুগিয়েছেন তারা। এইসব বঞ্চিত মানুষেরা বলেন তাদের জন্য যে আন্দোলন অভিষেক করছেন তা ইতিহাসে লেখা থাকবে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে অভিভূত অভিষেক।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট