ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বঙ্গ, সিকিম বপর্যয়ে বিপদে উত্তর


বুধবার,০৪/১০/২০২৩
476

ভারী বৃষ্টিতে বিপদে বঙ্গ। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জেলাতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বিভিন্ন নদীর জল। এরই মধ্যে বিপদ বেড়েছে সিকিমের বিপর্যয়। সিকিম পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ জলস্ফীতি তিস্তায়। নদীর দুই পাড়ের একাধিক এলাকা জলের তলায়। অন্যদিকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ বঙ্গের বহু এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নবান্নে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে হয় বৈঠক। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের একাধিক এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সব এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দেওয়ার। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবে বিপদের মধ্যে না পড়েন, তাদের পাশে থাকা যায় সে কথা বলেছেন তিনি।
এদিনের বৈঠক থেকে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে:
তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি।
তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি।
তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর।
আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা।
তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান
১) ভোর ৫ টায় ৩৪৮৪ কিউসেক
২) সকাল ৭ টায় ৭০২৬ কিউসেক
৩) সকাল ৮ টায় ৫০২৩ কিউসেক।
৪) সকাল ৯ টায় ৭৯৫১.৩৮ কিউসেক
৫) সকাল ১০ টায় ৮২৫২.৪০ কিউসেক
৬) সকাল ১১ টায় ৭৮৮৫.৬৪ কিউসেক।
৩টের সময় ক্লাউড বার্স্ট হয়েছে।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দার্জিলিং কালিম্পংয়ে লোক সরানো শুরু হয়েছে। সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জলের স্রোত কমলে তিস্তা ব্যারেজ মেরামতির কাজ শুরু হবে। দার্জিলিং কোচবিহার জলপাইগুড়ি এর ফলে প্রভাবিত। আমরা সিকিমকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তত। প্রায় ১০ হাজার লোককে সরানো হয়েছে। ডিভিসি জল ছেড়েছে।বাঁকুড়া বীরভূম হুগলিতে বন্যা পরিস্থিতি। ঘর থেকে নজর রাখছি। মানুষকে ত্রাণশিবিরে আসার অনুরোধ।৬-৭ টা জেলায় নজর রাখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি কোচবিহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।এনডিআরএফ এসডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট