আগামী ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। আবার ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের। ওই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনার দ্বিতীয় দিনে ইডির তলব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ইডির নোটিশ অনুযায়ী সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি হাজিরা দিতে যান তাহলে দিল্লির কর্মসূচিতে তার উপস্থিত থাকা হয় না। ঠিক ওই দিনই কেন তাকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য তাদের দিল্লি অভিযান কর্মসূচি অনেক আগে থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। বুঝেসুজে ওই নির্দিষ্ট দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ বিজেপি ভয় পেয়েছে তাদের আন্দোলনকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আর সে কারণেই ওই কর্মসূচির মধ্যেই ইডির তলব বলে মনে করছে তৃণমূল।
শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দিল্লির কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সেই কারণে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে যেতে পারবেন না। অন্য কোন সময় ডাকলে অবশ্যই তিনি যাবেন। তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য সব সময় তিনি তৈরি। আর সেজন্যই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে না গিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন। এমনকি তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি মাঝপথে থামিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে।
তবে ইডির ভূমিকা নিয়ে আবারো প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ইন্ধনে ইডি কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আর সে কারণেই বারবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। এদিন অভিষেক বলেছেন, তিনি ভয় পান না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।