কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী কি বিজেপির পথে ?


বৃহস্পতিবার,২৮/০৯/২০২৩
417

বুধবার মহানগরের বুকে মিছিল সংগঠিত হয় চাকরির প্রার্থীদের। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠে এই মিছিল থেকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে দিয়ে যাই মিছিল। মিছিলের অনুমতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জোর চর্চা চলেছে। পুলিশ মিছিলের অনুমোদন না দেওয়ায় আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ওই রাস্তাতেই মিছিল হয়। তবে মিছিলের মূল আকর্ষণ বা চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শুভেন্দু ও কৌস্তভের যুগলবন্দী।বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেসের অন্যতম প্রচার পাওয়া নেতা কৌস্তভ বাগচীর এক মিছিলে পায়ে পা মেলানো ঘিরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়।
সাম্প্রতিককালে বেশকিছু ইস্যুতে প্রচারের আলোয় আসেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেসের মুখপাত্র হওয়ার দৌলতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পান এই কংগ্রেস নেতা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী হিসেবে কিছু সিদ্ধান্তে প্রচার পেয়ে যান। কয়েক মাস আগে মাথা ন্যাড়া করে মিডিয়ার হাইলাইট হয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত মাথায় চুল গজাতে দেবেন না।
অবশ্য হুঙ্কারই সার। নিজের দলে সাম্প্রতিককালে কোণঠাসা হয়েছেন। পদ হারিয়েছেন দলের থেকে। তাহলে শীর্ষ নেতাদের নেক নজরে পড়েছেন। যেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়ে উঠেছে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর বিরোধী হওয়ার কারণে কংগ্রেসের মধ্যেই ‘সেন্সর’ হতে হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব না হওয়া, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এই কংগ্রেস নেতার রাজনৈতিক ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ওঠে। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। কয়েকদিন আগেই কৌস্তভ মন্তব্য করেন,শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা নেই, বিরোধীতার রাজনৈতিক মতাদর্শে।
সেই কৌস্তভ বুধবার একইসঙ্গে পায়ে পা মেলালেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলে চর্চা কংগ্রেসে কোণঠাসা হয়ে ওঠা এই নেতা এবার নাম লেখাতে চলেছেন পদ্ম শিবিরে। তারই যাত্রা শুরু হল চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে একসঙ্গে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। বিজেপিতে নাম লেখানো শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলেরও একটা বড় অংশ। তাদের অভিমত কংগ্রেসের যে রাজনৈতিক ঘরানা তার সঙ্গে কৌস্তভের ভাবনার অনেক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। কৌস্তভ এরএই মতাদর্শ ও উগ্র তৃণমূল বিরোধিতা মেনে নিতে পারছেন না কংগ্রেসের বড় অংশ। আর তাই সম্প্রতি জনপ্রিয়তা পাওয়া কৌস্তভের পক্ষে যে কংগ্রেসে বেশিদিন থাকা সম্ভব নয় তাও স্পষ্ট হচ্ছিল। এই সুযোগে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে বিজেপি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কৌস্তভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে গড়ায়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট