কল্যাণী থেকে কলকাতা হয়ে গেঁওখালি পৌঁছে যেতে পারবেন জলপথেই


বুধবার,১৩/০৯/২০২৩
700

জলপথ পরিবহনকে আরও আধুনিকভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন বাংলার জলপথ একসঙ্গে জুড়ে যাক। পরিবহন ব্যবস্থায় একঘাটের সঙ্গে আর এক গঙ্গার ঘাট যোগসূত্র গড়ে তুলুক। মুখ্যমন্ত্রী সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর হলো রাজ্য পরিবহন দপ্তর। পরিবহন দপ্তরের এই কাজকে আরো সহজ করে তুলতে রাজ্যের পুর দপ্তরও হাত বাড়িয়েছে। বিভিন্ন পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় ঘাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকে পুরসভা বা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। পরিবহন দপ্তর এসব পুরসভা ও পঞ্চায়েতের সহযোগিতা নিয়ে জলপথে যাত্রীর পরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে চাইছে। পাশাপাশি পুর দপ্তর বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে গঙ্গার দু’ধারে আরো গাছ লাগানো ও সৌন্দর্য স্থাপন। জলপথে পরিবহন ব্যবস্থাকে যোগসূত্রের মধ্যে নিয়ে এলে দূষণবিহীন পরিবহন হিসাবে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে জলপরিবহন। রাজ্য পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে নদীয়ার কল্যাণী ও হুগলির ত্রিবেণী থেকে কলকাতা হয়ে গেঁওখালি পর্যন্ত যোগসূত্র ঘটাতে চাইছে জলপথ পরিবহনকে। সড়ক পথ বা ট্রেন পথ ছাড়াও এই জলপথ ধরে সাধারণ মানুষ কলকাতায় পৌঁছে যেতে পারবেন। পৌঁছে যেতে পারবেন অন্যান্য গন্তব্যে। ইতিমধ্যেই প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে পরিবহন দপ্তর।

কল্যানী থেকে নূরপুর ত্রিবেণী থেকে গেঁওখালিএর মধ্যে যে ঘাট গুলো রয়েছে তার মধ্যে কিছু ঘাট বাছাই করে সেফ ট্রান্সপোর্ট এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। সেই ঘাট গুলি আরো উন্নত করার জন্য এটি নতুন প্রজেক্ট পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। জলপথ পরিবহন ব্যবহার করলে দূষণ কমবে। ফলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রবনতা কমবে। এক হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। ৭০ শতাংশ টাকা বিশ্ব ব্যাংক দিচ্ছে। ৩০ শতাংশ রাজ্য সরকার। কংক্রিটের জেটি তৈরি হবে ২৯ টি। ২৩টি জেটি হয়ে গিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে এই প্রোজেক্ট চালু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে পরিবহন দপ্তর।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট