আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক। তেরো জনের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্ডিয়া’ জোটের প্রবীণতম সদস্য তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাড়িতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকের দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। দু’দিনের নোটিশে ওই একই দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ই ডি তলব করল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডির কলকাতার অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওইদিন আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইডির নোটিশের কথা নিজেই সামনে এনেছেন অভিষেক। ইন্ডিয়া জোটের প্রথম কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে ১৩ সেপ্টেম্বর। ওইদিন ইডি তাঁকে তলব করায় অভিষেক X প্লাটফর্মে লিখেছেন, ভয় পেয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ইন্ডিয়া জোটের ভয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁর কাজে বাধা দিতে এটা ইডির ‘কাপুরুষোচিত’ পদক্ষেপ! INDIA-র প্রতি ভয় থেকেই এই কাজ বলে মনে করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। INDIA জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। এই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে এই বৈঠকে তাঁর যোগ দিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইডির তলব অনুযায়ী তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে ওই একই দিনে। আর এটা ইডির ‘কূট চাল’ বলেই মনে করছেন তিনি। X হ্যান্ডলে অভিষেক তুলে ধরেছেন নিজের মনোভাব।
এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনো দিল্লিতে কখনো কলকাতায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডেকে পাঠিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছেন। মুখোমুখি হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সামনে। এমনকি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন টানা দু মাসের জন্য কলকাতার বাইরে ছিলেন তখনও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পুরুলিয়ার কর্মসূচি অসমাপ্ত রেখে ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। নিজাম প্যালেস মুখোমুখি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের সামনে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন যাবেন নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে যাবেন তা এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। হবে ওই দিনেই কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাকে তলব করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন অভিষেক। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এই নিয়ে। তার অভিযোগ বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে এনডিএ। তাই তাদের দোসর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে।