আবহমান কাল ধরে শ্রীহরি বা শ্রীকৃষ্ণ আমাদের কাছে কখনও ভগবান, কখনও ননীচোর নন্দলালা গোপাল আবার কখনও বা গোপবালক। কোথায় যেন দ্বারকাধিপতি, কুরুক্ষেত্র সমরাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণ বা ব্রজের রাখাল বালক মিলে মিশে একাকার হয়ে যান।তাই তাঁর জন্মোৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে
কেউ সেজেছে বংশীধারী, কেউ বা সুদর্শন ধারী কেউবা গোঠের রাখল। ননীচোরা থেকে বাল গোপাল। এমনকি কালীয় নাগ দমনকারী কৃষ্ণ সাজে খেলে বেড়াচ্ছে খুদে কৃষ্ণরা। এভাবেই কলকাতার শ্রী শ্রী ভগবান পার্থ সারথী মন্দির উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত কৃষ্ণ সাজা প্রতিযোগিতায় অংশ নিল বেলেঘাটা এলাকার খুদে শিশুরা। মোট ৪১ জন শিশু এই প্রদর্শনী বা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।এই অভীনব প্রতিযোগীতা দেখতে ভীড় করেন বহু মানুষ।
মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, শিশু বয়স থেকেই বাচ্চাদের মনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তার কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারেও দূর দুরান্ত থেকে খুদে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন। মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
হয়ত আজকের কৃষ্ণ সাজা বালকেরা আমাদের সমাজ জীবনে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করতে এগিয়ে আসবে এই আশা নিয়ে বাবা মায়েরাও তাদের শিশুদের সাজিয়ে তুলেছে কৃষ্ণের নানা রুপে।