উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছালো রাজভবনের। রাজভবন থেকে আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উপাচার্যই শেষ কথা বলবেন। এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জারি হয়েছিল বিতর্ক। রাজ্য সরকারের পরিচালনাধীন বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্য সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় রাজ্যের তরফে। রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের নাম ঘোষনা করে দেয় রাজভবন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করে রাজ্যপালের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানান রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল যে আচরণ করছেন তার সঙ্গে গোপাল ভাঁড়ের তুলনা করেন ব্রতবাবু। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন সাংবিধানিক নিয়ম অগ্রাহ্য করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। যেভাবে বিজেপির কথামতো রাজ্যপাল চলছেন তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। ব্রাত্য বসু বলেন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানছেন না রাজ্যপাল। এমনকি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা করছেন না। রাজ্য সরকার প্যানেল পাঠালেও তা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। বিধানসভায় ব্রাত্য বসুর সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কড়া চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,
রাজভবনের জারি করা নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলি। রেজিস্টার বা আধিকারিকরা উপাচার্যের অধীনে নয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য। একই মর্মে রাজভবনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত আইন ও তাঁর(রাজ্যপালের) সীমাবদ্ধতা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। কয়েকদিন আগে অর্থাৎ গত ২ সেপ্টেম্বর রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় উপাচার্য যে নির্দেশ দেবেন সেটা পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যর পরে উপাচার্যরাই শেষ কথা।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, দিল্লির বিজেপি নেতাদের নির্দেশে কাজ করছেন রাজ্যপাল। রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত করেছেন। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পেরে ঘুরপথে রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলতে রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। সংবিধানকে লংঘন করছেন সে ভি আনন্দ বোস। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও রাজ্যপালের ভূমিকার কড়া সমালোচনা কড়া হয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন রাজ্যপাল যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন তা বৈধ নয়। এইভাবে ইচ্ছে খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তিনি। রাজ্যপালকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সুজন। এই সিপিএম নেতা বলেন একজন উপাচার্যকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এই রাস্তাটা খুলে দিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তৃণমূল নেতা ওম প্রকাশ মিশ্রকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যপাল সেই পথ ধরে এগোচ্ছেন।
রাজ্যপাল এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত যেভাবে এগোচ্ছে তা কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা বলা কঠিন। এখন চিঠি যুদ্ধ অব্যাহত। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দেয় সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…
আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…
রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…
সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…