বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে বসবে স্বপ্নদীপের আবক্ষ মূর্তি


মঙ্গলবার,০৫/০৯/২০২৩
725

নদিয়ার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে বসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর আবক্ষ মূর্তি। পাশাপাশি হসপিটালের একটি ব্লকও তার নামে উৎসর্গ করা হবে। আর স্বপ্ন দীপের ভাইয়ের পড়াশোনার খরচও সরকার দেখবে। সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নদীপের পরিবারকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বপ্নদীপের মা স্বপ্না কুন্ডু বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিন বগুলা থেকে নবান্নে আসেন স্বপ্নদীপের বাবা ও মা স্বপ্না কুন্ডু। সঙ্গে ছিলেন তার স্কুল এর প্রাক্তনী সংগঠন ও পরিচালনা সমিতির সদস্য। স্বপ্ন দীপের মা এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এই রেগিং এর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হবে বলে মুখ্য মন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আগে চূড়ান্ত ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের বাবা এবং মা নবান্নে যাবেন। সেখানে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন।ওই ছাত্রের পরিবারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সময় দিয়েছিলেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন নদিয়ার ওই ছাত্র। হস্টেলে অন্য ছাত্রদের অতিথি হিসাবে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। ৯ অগস্ট তিনি হস্টেলের এ ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। পরের দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রটি রেগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। সেই রাতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে তিনি নিজে ঝাঁপ দেন, না ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়, না কি তিনি বারান্দা থেকে কোনও ভাবে পড়ে যান, তা স্পষ্ট নয় এখনও। তদন্ত চলছে। ছাত্রকে উদ্ধার করার সময় কোনও পোশাক তাঁর পরনে ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্র মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জয়দীপ ঘোষ নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশকে আটকানোর অভিযোগ ছিল। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পুত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন ছাত্রের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু। তাঁদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। গিয়েছিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দলও। এ বার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুত্রের মৃত্যুর তদন্তের বিষয়ে কথা বললেন রামপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট