অভ্র বড়ুয়া: সব শঙ্কা,ভয় কাটিয়ে চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩। আজ বুধবার ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩–এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে।যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে এই ইতিহাস গড়েছে এবং পৃথিবীর প্রথম কোন দেশ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-৩–এর অবতরণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে।তবে এই ‘নরম অবতরণ’ চাঁদের দক্ষিণ অংশে এর আগে হয়নি।চন্দ্রযান-১ ও চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতা থেকে যে হতাশার তৈরি হয়েছিল, এই অবতরণের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি হলো।এবার ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এক চন্দ্রদিবসের জন্য চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে সেটি, যা পৃথিবীর নিরিখে ১৪ দিনের সমান। রোভার ‘প্রজ্ঞান’ পর্যবেক্ষণ করবে চাঁদের মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার মূল উদ্দেশ্যে হলো চন্দ্রপৃষ্ঠে বরফের উপস্থিতির সম্ভাবনা যা ভবিষ্যতে চাঁদে বসবাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।চাদেঁর দক্ষিণ অঞ্চলে খননকার্য কিংবা মঙ্গলে অভিযানের রূপরেখাও তৈরি করে দিতে পারে দক্ষিণ মেরুর এই কঠিন ও দুর্গম অভিযান।গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’, রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। এই রোভারই চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে।বিক্রমের ওজন আনুমানিক ১৭৪৯.৮৬।প্রজ্ঞানের ওজন ২৬ কেজি।
ড: বিক্রম আম্বালাল সারাভাই-কে সম্মান জানিয়ে এই ল্যান্ডারের নাম রাখা হয়েছে বিক্রম।অহমেদাবাদের বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে এই ল্যান্ডারের নামকরণ। তিনি ১৯৪৭ সালে ১১ নভেম্বর গড়েছিলেন ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটারি। ১৯৬৬ সালে তিনি অহমেদাবাদে কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টার চালু করেছিলেন যা বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার নামে পরিচিত।রোভারটির নামকরণ হয়েছে সংস্কৃত শব্দ ‘প্রজ্ঞান’ থেকে।সংস্কৃতে যার অর্থ ‘প্রজ্ঞা’।