সোমনাথ গোপ:– পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝারখান্ড ও উড়িষ্যা সহ সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কুড়মি জনগোষ্ঠী, এই জনগোষ্ঠীর আদিবাসী স্বীকৃতির দাবীতে উত্তাল পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি, কুড়মি সমাজের দাবী ১৯৩১ সালের লিস্টে আদিবাসী স্বীকৃতি থাকলেও কুড়মিরা কোন এক অজানা কারণে ১৯৫০ সালের লিস্ট থেকে বাদ পড়ে যায়, আবার সেই ST তালিকা ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত কুড়মি সমাজ এর আগে দুবার রেল টেকা কর্মসূচি নিয়ে থাকলেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে কোনো সদর্থক উত্তর না পেয়ে আবার আন্দোলনের পথে আদিবাসী কুড়মি সমাজ, সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, সি আর আই রিপোর্টের কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশান পাঠানোর দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে এ রাজ্যের কুড়মিরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সার্ভে করে, রিপোর্ট পাঠায় ২১/৪/২০১৭ তারিখে। কেন্দ্র সরকারের RGI পুরো সার্ভে রিপোর্ট পড়ে, চিঠির মাধ্যমে ৭ টি পয়েন্ট নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে জানতে চায় ১৪/৯/২০১৭ তারিখে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চিঠি কেন্দ্র সরকারের কাছে দিলেও, এই সাতটি পয়েন্টের ব্যাখ্যা আজ অব্দি দেয়নি। আর এই জন্যে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবীকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রকে এখনো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সি আর আই রিপোর্টের কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশান পাঠায়নি, ফলে আটকে রয়েছে কুড়মি জনজাতির আদিবাসী স্বীকৃতি, তাই এবার জোরদার আন্দোলনের পথে আদিবাসী কুড়মি সমাজ, রবিবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় কুড়মিদের যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন থেকে ২০ সেপ্টেম্বর রেল টেকার ডাক দেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। রবিবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় কুড়মিদের যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন থেকে আরো জোরদার ভাবে ২০ সেপ্টেম্বর রেল টেকার ডাক দেন কুড়মি নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল এই রেল টেকা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। ফলে পুজোর আগেই আবার বিপর্যস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলির রেল পরিষেবা, এর পূর্বে দুটি রেল টেকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যবসায়ী থেকে নিত্যযাত্রী, সকলে আশংকার প্রহর গুনছেন, পুজোর মুখে যদি বন্ধ হয়ে যায় রেলপথ
তাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বেন জেলার ছোট থেকে মাঝারি সকল ব্যবসায়ী, কার সাথে নিত্যযাত্রী থেকে পড়ুয়া সকলেরই সমস্যা, অথচ সমাধানের কোন দেখা নেই, নাজেহাল জনতা। অজিত বাবু জানিয়েছেন আদিবাসী স্বীকৃতির দাবীতে এই আন্দোলন, সফলতা না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল আন্দোলন চলবে।