টানা হামলা চলছিল তৃণমূল কর্মীদের ওপর। রেজাল্ট বেরোনোর পর তা আরও বেড়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার প্রতিবাদ জানিয়ে আসেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুনাল ঘোষ সহ তৃণমূলের নেতারা। বিজেপিকে কড়া বার্তা দেন তারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নন্দীগ্রামে বিজেপির দুষ্কৃতিকারীদের হাতে আক্রান্ত হয় বেশ কয়েকজন। শুক্রবার নন্দীগ্রামে গিয়ে পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সেই মতো দেখা গেলো। পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল -২এর রামচক গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তাদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় বিজেপির ২ কর্মীকে গ্রেফতার করল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
গতকালই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। কুনাল ঘোষকে কার্যত পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায়। কুনাল ঘোষের হুঁশিয়ারির পর ২ জন বিজেপি কর্মী প্রশান্ত আড়ি এবং সঞ্জয় আড়িকে নন্দীগ্রামের রামচক এলাকা থেকে গ্রেফতার করল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ২ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে এদেরকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে, এদের সঙ্গে এইসব ঘটনার কোনো যোগ নেই।