রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বশেষ মনোনয়ন জমার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। আর এই পরিসংখ্যান দেখে স্পষ্ট রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে রয়েছে বিরোধীরাও। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকদ্বীপের সভায় বলেছেন, শান্তিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীরা দেড় লক্ষ মনোনয়ন দিয়েছে। তারপরও তারা বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে।
মনোনয়ন ঘিরে কিছু জায়গায় অশান্তি গুলি-বোমায় রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গিয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, তাদের মনোনয়নে বাধা দেয়া হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। শাসক দল তাদের মনোনয়ন দিতে দেয়নি বলে একযোগে অভিযোগ করেছে বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা।বিরোধীরা মনোনয়নে পিছিয়ে নেই, কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। শাসক দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। তারপরও বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে তারা। কমিশনে যাচ্ছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। জেলা পরিষদে বিজেপির মনোনয়ন ১০৫৮টি। সেখানে তৃণমূলের মনোনয়ন জমা ১০৭৯টি। সমিতিতে বিজেপির মনোনয়ন ৮৮৮২টি। সেখানে তৃণমূলের মনোনয়ন জমা ১১৫২৭টি। গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির মনোনয়ন ৪৬৩৮১টি। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মনোনয়ন ৭৩২১১টি। বিজেপির সমান সংখ্যক মনোনয়ন সিপিএমের। বিরোধীরা দেড় লক্ষ মনোনয়ন জমা করেছে। বিরোধীদের মিলিত মনোনয়ন দেড় লক্ষ যা তৃণমূলের থেকে দ্বিগুণের বেশি। তারপরও বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের।
পরিসংখ্যানে অবশ্য খাটছে না বাধার তত্ত্ব শাসক দলকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। যা নিয়ে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ কাকদ্বীপে অসন্তোষ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর।