বুধবার পথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অংশ নিলেন প্রতিবাদ মিছিলে। না, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য নয়। কুস্তিগীরদের সমর্থন জানাতে মমতার মিছিল। দেশের প্রথম কোন মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে পথে নামলেন। দেখল গোটা ভারত। আন্দোলনকারীদের ভাষা আরও জোরাল হল।
কুস্তিগীরদের অপমানে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে দেশের সম্মান। একথা আগেই বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পাশে আছেন এবং থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবারেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার বাংলার ক্রীড়াবিদদের নিয়ে মিছিল হবে শহরে। হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত হবে এই মিছিল।
তাঁর ঘোষণা মতোই হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়।মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। মিছিলে উপস্থিত মেহতাব হোসেন, রহিম নবী, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, প্রশান্ত চক্রবর্ত্তী সহ বহু প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ। রবীন্দ্র সদনে মিছিলে আচমকা যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যন্তর মন্তরে হওয়া কুস্তিগীরদের হেনস্থার প্রতিবাদে, তাঁদের হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে যোগ দেওয়ার পর মিছিলের নেতৃত্বে তাঁর হাতে তুলে দেন অরূপ বিশ্বাসরা। মিছিল শেষ হবে রবীন্দ্র সরোবরে।
আন্তর্জাতিক পদক জয়ী কুস্তিগীরদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন ক্রীড়া জগতের ব্যক্তিত্বরা। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলার মহিলা ক্রীড়াবিদরা। তাদের প্রশ্ন, যারা জাতীয় পতাকাকে তুলে ধরেছে সেই নারীদের টানা-হেঁচড়া করার দুঃসাহস হয় কী করে?
আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্ত কুস্তিগিররা জানুয়ারি মাস থেকে টানা আন্দোলন শুরু করেছেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠা ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে চলছে আন্দোলন। প্রায় সাড়ে চার মাস কেটে গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রের সরকার। উল্টে বিশ্বমঞ্চে দেশকে পদক এনে দেওয়া সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাতদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। হতাশায়, দুঃখে, অভিমানে দেশের হয়ে জেতা পদক হরিদ্বারের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অলিম্পিক সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পদকজয়ী কুস্তিগীররা।সাময়িকভাবে তাঁদের এই পদক্ষেপ আপাতত বন্ধ করা গেছে। তবে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা। কুস্তিগীরদের সঙ্গে সরকারের এই অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ দেশের ক্রীড়া জগত। ক্ষুব্ধ আপামর ক্রীড়া প্রেমী মানুষ। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলার মহিলা ক্রীড়াবিদরা। স্বপ্না বর্মন, বুলা চৌধুরী, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, মৌমা দাস কুস্তিগীরদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণের কড়া সমালোচনা করেছে। তারা এক সুরে বলেছেন কুস্তিগীরদের সঙ্গে যে আচরণ চলছে তা জাতির লজ্জা। যারা দেশের জন্য যারা জাতীয় সম্পদ, দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে, যারা ভারতের গৌরব, তাঁদের সঙ্গে এরকম আচরণ ভাবা যায় না। দেশের লজ্জা। তাদের প্রশ্ন, যারা জাতীয় পতাকাকে তুলে ধরেছে সেই নারীদের টানা-হেঁচড়া করার দুঃসাহস হয় কী করে? ন্যূনতম সম্মান টুকু থাকা উচিত।
প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে শহরজুড়ে যে শব্দটা প্রায়ই আমাদের কানে বাজে, তা হলো “দুর্ঘটনা”। চারপাশে যখনই…
বাচ্চাদের ডাব খাওয়া: স্বাস্থ্য ও সতেজতার প্রাকৃতিক উপায় বাংলার গ্রীষ্ম মানেই রোদের তেজ, ঘাম আর…
২০১৮ সালে কেকেআর দলে যখন রিঙ্কু সিং যোগ দিলেন, তাঁর জন্য ৮০ লক্ষ টাকা খরচ…
পশ্চিম বাংলার একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি আসন্ন 📍 কলকাতা, ১৭ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।…
আজ, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, আমরা উদযাপন করছি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি কেবল তাঁর…
১০ জানুয়ারি ২০২৫ এর বই মেলা উপলক্ষে বাজারে এসেছে কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম…