বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির রেড রোডের সভা নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ২০২৪ এ বিজেপি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না ।শনিবার তিনি বলেন, যখন শুভেন্দু আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তখনও মমতা ব্যানার্জি রেড রোডে যেতেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই যান। আমরা পুজো থেকে বড়দিন, ঈদ থেকে অন্যান্য উৎসব, আমরা রাজনীতি বাদ দিয়ে আন্তরিকভাবে করি। বিজেপির কোনো সামাজিক সংযোগ নেই। ওরা শুধু রাজনীতি করতে এসেছে। এলাকার লোকের পাশে থাকতে হয়। ওদের নেই। তাই হঠাৎ করে মাথায় এসে বসলে হবে না। সংখ্যালঘুদের সব থেকে বেশি ক্ষতি করেছে বিজেপি। এখন দেখছে আর উপায় নেই। এখন হাত বাড়াচ্ছে। মানুষ এতো বোকা? আমরা আম্বেদকরের মূর্তির নিচে বসেছিলাম সংবিধান বাঁচানোর জন্য। ওরা কাকে বাঁচাতে বসেছে? সারা দেশ জুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। আর এখন হাস্যকর ভাবে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ধর্নায় বসেছে। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। কিন্তু বিজেপিকে মনে রাখতে হবে, কিছু মানুষকে কিছু দিনের জন্য বোকা বানানো যায়। কিন্তু সব মানুষকে সারাজীবনের জন্য বোকা বানানো যায়না। যারা ধর্মনিরপক্ষ, তাড়া জানে বিজেপি কি। ২০২৪ এ বিজেপি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
অভিজিত গাঙ্গুলী ইস্যুতে বলেন, সংবিধান ও আইন, দেশের যেকোনো নাগরিককে উচ্চতর বেঞ্চে যাওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাই বিচারপতি গাঙ্গুলী ইস্যু তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন জানিনা। উনি মাননীয় মানুষ। আমরা সবাই ওনাকে শ্রদ্ধা করি।
কালিয়াগঞ্জ নিয়ে পুলিস কি হাইপার অ্যাক্টিভ? ফিরহাদের জবাব, পুলিশকে ওভাবে মারলেন কেন? পুলিস বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় চাইল। বের করে মারলেন কেন? আপনারা অরাজকতা ছড়াচ্ছেন। পুলিসকে খুন করার চেষ্টা করছেন। পুলিস হওয়া কি অপরাধ? ওরা আপনার আমার বাড়ির ছেলে নয়? তারা অন্ততঃ উত্তর প্রদেশের পুলিশের মতো হ্যান্ড কাফ পড়া অবস্থায় গুলি করিয়ে মারিয়ে দেয় না। তারা গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। উত্তরপ্রদেশে ক্রিমিনালকে প্রোটেকশন দিতে পারেনা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তো পুলিশের। অরাজকতা ছড়ালে পুলিস কিছু বলবে না? পুলিস সব জায়গায় সক্রিয় বলেই তো পুলিসকে বাধা দিয়ে মারা হয়েছে।