চালু হচ্ছে চ্যাট বট। এর মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যান সব পাবেন। কোনো অফিসারের সঙ্গে দেখা করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে গেলে, চ্যাট বটে তা লাইন আপ করা যাবে। এসে যাবে এন্ট্রি পাস। সেই পাস দেখিয়ে তিনি পুরসভায় ঢুকে যাবেন। আপনার বাড়িতে বা এলাকায় পুরসভা যে নাগরিক পরিষেবা দেয়, তার রেটিং এবার থেকে আপনি চ্যাট বটে করতে পারবেন। রেটিং 5 হলে সমস্যা নেই। রেটিং 2 বা 1 হলে, পুরসভা আবার আপনার কাছে যাবে। ফিড ব্যাক নেবে। কিছু সময় আপনার আগের দেওয়া লো রেটিং বাড়ল কিনা, তার দিকে নজর রাখবে। এই চ্যাট বট একটা অ্যাপ নির্ভর। এতে পুরকর্মীদের সেল্ফ রেটিং হবে। ধরুন, যে আবর্জনা পরিস্কার করে, সে সেই জায়গার আগের ও পরের ছবি আপলোড করে এন্ট্রি করবে। পুরকর্তারা দেখে নেবেন।
পুরসভা ভবনের চারটি গেটেই খুব শিগগির বসে যাচ্ছে চারটি চ্যাট বট স্মার্ট গেট। এই গেটে পুরসভা ভবনে কে ঢুকছেন, কখন ঢুকছেন, কখন বেরোচ্ছেন তা থাম্ব ইমপ্রেশন এবং বায়োমেট্রিক রিপোর্ট সহ আমাদের কাছে ডেটা থাকবে। এই রেকর্ড রক্ষিত থাকবে পুরসভার সিকিউরিটি অফিসারের কাছে। এর ফলে দালাল চিন্হিত করতে সুবিধা হবে। এই চ্যাট বটে পুর পরিষেবা নিয়ে নাগরিকরা ফিড ব্যাক দিতে পারবেন। আমরা আজ পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ শুরু করলাম। এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। আজ থেকেই চ্যাট বটে বিল্ডিং প্ল্যান ও মিউটেশন সহ কিছু কিছু পরিষেবা মানুষ পেতে শুরু করবেন। পুরসভায় আসি যাই মাইনে পাই এর দিন শেষ। ওয়ার্ক ডায়রী চালু হচ্ছে। যারা পুরভবনে বসে কাজ করছেন, তারা এই ডিজিট্যাল বা ই ওয়ার্ক ডায়রী নামক অ্যাপে সারাদিনের নিজেদের কি কি কাজ হল, কি কি হল না। কেন হল না। তা নিজেরাই ফিল আপ করবেন। সেই অনুযায়ী তাদের কর্মজীবন ও কর্মদক্ষতার অ্যাসেসমেন্ট হবে। যারা বাইরে কাজ করে, তাদেরও নিজেদের মোবাইলে এই অ্যাপের মাধ্যমে টাইম টু টাইম কাজের খতিয়ান আপডেট করতে হবে।