বনধের নামে আবারও বিশৃঙ্খলা বিজেপির। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার জেরে বনধ। উত্তরবঙ্গে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বনধ সফল করতে কার্যত তাণ্ডব চালায় বিজেপি। গায়ের জোরে বনধ পালন করার চেষ্টা করে। সরকারি বাসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।দোকান খুলতে বাধা ব্যবসায়ীদের।
ভয় দেখিয়ে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। বনধকে ঘিরে কি অশান্তি ছড়ানোই ছিল উদ্দেশ্য? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শাসক দলের অভিযোগ, বনধের নামে তান্ডব চালিয়েছে বিজেপি। মানুষ এখন আর বনধ রাজনীতি পছন্দ করে না।
রাজিব সুশীল সমাজ মনে করে কালিয়াগঞ্জে যা হয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে অন্যায়। চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কঠোর পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারপরও কেন এই বনধ-হরতাল?
কেন সাধারণ মানুষকে হয়রানির মুখে ফেলা? কেন জনজীবন বিপর্যস্ত করার চেষ্টা? এদিকে আবার রাজভবন অভিযান ঘিরে বিশৃঙ্খলা মহানগরী কলকাতার বুকে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতার রাজপথে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি নেতা-কর্মীদের। বিজেপি কর্মসূচিতে নাকাল হয় মানুষ।অফিস ফেরত মানুষকে আটকে পড়তে হয়।
মানুষকে বেকায়দায় ফেলে এ কোন রাজনীতি? কেন মানুষকে হয়রানির মুখে পড়তে হবে? কেন পথে নেমে আশঙ্কায় ভুগতে হবে?
এ কোন রাজনীতি? কী চাইছে বিজেপি? রাজনীতির নামে মানুষকে হয়রানি?
বনধের নামে বিজেপি এই অশান্তিকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধায়।