ঊনবিংশ শতকের প্রখ্যাত ভারতীয় দার্শনিক, সাধক, ধর্মগুরু এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের আধ্যাত্মিক সংস্কারক শ্রী শ্রীমৎ কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ১৮৯৬ সালে তাঁর পুত্র ললিতা প্রসাদের কাছে একটি চিঠির আকারে তাঁর আত্মজীবনী লিখেছিলেন। যেটি তাঁর ছেলে ১৯১৬ সালে কেদারনাথ দত্তের মৃত্যুর দু বছর পর পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন।
কিন্তু প্রথম মুদ্রণের পর বইটি আর ছাপা হয়নি।
অথচ এটিই ছিল গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্কারকের জীবন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একমাত্র প্রামান্য গ্রন্থ । তাই বৈষ্ণব ভক্ত, গবেষক ও অসংখ্য বাঙালি পাঠকদের কথা মনে রেখে বইটি নতুন ভাবে প্রকাশিত হল ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার এবং দে’জ পাবলিশিং-এর যৌথ উদ্যোগে।
এদিনের গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্কনের সহ সভাপতি রাধারমণ প্রভু, গভর্নিং বডি কমিশনের গৌরাঙ্গ প্রভু,ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডক্টর সুমন্ত রুদ্র ও প্রকাশিত পুস্তকের সম্পাদক ডক্টর শান্তনু দে।
ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন,স্বরচিত জীবনী গ্রন্থটি সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত বৈষ্ণব ভক্তদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুস্তক। যেহেতু এটি ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সাথে সম্পর্কিত, যাকে সচ্চিদানন্দ এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের একজন অগ্রণী আচার্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়,তার এই জীবনী গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই বিবেচিত হবে বলে তাঁর বিশ্বাস ।
রাধারমণ প্রভু বলেন, কেদারনাথ দত্ত বাঙালি বৈষ্ণবধর্মের ‘পুনরুদ্ধারকারী’ এবং শুদ্ধ ভক্তি বা বিশুদ্ধ ভক্তির পুনঃপ্রবর্তক হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বহু সংখ্যক ব্যাখ্যামূলক গ্রন্থ এবং ভাষ্য তৈরি করেছিলেন।
গৌরাঙ্গ দাস প্রভু বলেন, বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভা প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাংলার বিভিন্ন জেলায় বহু মণ্ডলীর কীর্তন প্রচার ও নামহট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ভক্তি বিনোদ ঠাকুর ।
মায়াপুরে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নির্ধারণে তাঁর ভূমিকা ছিল অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ । স্বরচিত জীবনী গ্রন্থের সম্পাদক ডক্টর শান্তনু দে বলেন, আশা করা যায় এই বইটি বাঙালি পাঠক ও সাধারণ ভক্তদের মধ্যেও এই মহান ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবদানসমূহ সম্যক উপলব্ধির পথে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করবে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…
আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…
রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…
সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…