বিশ্বায়নের যুগে পয়লা জানুয়ারির গুরুত্ব বেড়েছে। তা বলে পয়লা বৈশাখ কোন অংশে কম যায় না। সুরে-ছন্দে নব উন্মাদনায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাল বাঙালি। দমদমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা বাঙালির অস্মিতাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা।
সুরে-ছন্দে নব উন্মাদনায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাল বাঙালি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মহানগরী কলকাতায় আয়োজিত হয় একাধিক অনুষ্ঠানের।বাঙালি ঐতিহ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রা বের হয় টালি থেকে টালা প্রায় সর্বত্রই। ভিনটেজ কার থেকে এক্কা গাড়ি, কলকাতার ঐতিহ্যের হাতে টানা রিকশা। গোপাল ভাঁড় থেকে ঢাকের বাদ্যি। তালপাতার পাখার হাওয়া থেকে মৃদঙ্গের বোল। শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে একাকার হয়ে যায় বাঙালি মন। বিশ্বায়নের যুগে পয়লা জানুয়ারির গুরুত্ব বেড়েছে। তা বলে পয়লা বৈশাখ কোন অংশে কম যায় না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করেন, বাঙালির জন্য পয়লা বৈশাখ বিশেষভাবে উদযাপন করা প্রয়োজন।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে দমদমে সুরে-ছন্দে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। ব্রাত্য বসু বলেন, “বিশ্বায়নের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের আড়ালে কোথাও যেন বাংলা নতুন বছর হারিয়ে যেতে বসেছিল। আমরা বাঙালির অস্মিতাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা।
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর থেকে রাজডাঙ্গা পর্যন্ত আয়োজিত শোভাযাত্রায় ছিল অভিনবত্ব। অংশ নিয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় গাঙ্গুলী বাগানে। এই শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।