নর্মদা নদীর জলের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক মহিলা। কোন ঐশ্বরিক শক্তি বলে ওই মহিলা জলের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। মা নর্মদা রূপে আবির্ভূত হয়েছেন বলে হইচই শুরু হয়। শুরু হয় পূজার্চনা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আসল সত্য উদঘাটন করে পুলিশ।
মধ্যভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে এক ব্যতিক্রমী নদী। অন্যান্য নদীর গতির বিপরীতে, এটি বয়ে চলেছে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে, আর সারাবছর বয়ে চলে কোনও হিমবাহের সাহচর্য ছাড়াই। এই সুবিশাল নদীটির নাম নর্মদা। দেশের ৭টি পবিত্র নদীর অন্যতম, ক্ষেত্রবিশেষে গঙ্গার থেকেও পবিত্র বলা হয়ে থাকে। মধ্যপ্রদেশ আর ছত্তিশগঢ়ের সীমানায় মাইকাল পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমদিকে গিয়ে ভেদ করে মধ্যপ্রদেশকে। মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় তিলওয়াড়া ঘাটে এই নর্মদা নদীতে এক মহিলার হেঁটে বেড়ানোর ঘটনায় হইচই পড়ে যাই। খবর ছড়িয়ে পড়ে নর্মদার জলে হেঁটে বেড়াচ্ছেন মহিলারূপী দেবী। মা নর্মদা সাক্ষাত দিতেই আবির্ভূত হয়েছেন বলে খবর ছড়ায়। আর সেই দেবীকে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমে যায় মানুষের। মা নর্মদারর স্মরনে ঢাকঢোল বাজিয়ে শুরু হয় পূজার্চ্চনা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি তদন্তেও নামে পুলিশ। আর তদন্তে নেমে উঠে আসে আসল সত্য। নদীর জলে হেঁটে বেড়ানো কোন ঐশ্বরিক ঘটনা নয়। আসলে নর্মদা নদীর জলস্তর সব জায়গায় সমান নয়। নদীর অনেক অংশে জল হাঁটুর নিচে। সেই অংশেই ওই মহিলা হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। অনেক দূর থেকে স্পষ্ট বোঝা না যাওয়াতেই মনে হচ্ছিল জলের উপর দিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াচ্ছেন। ওই মহিলার পরিচয়ও জানতে পেরেছে পুলিশ। নাম জ্যোতি রঘুবংশী। মধ্যপ্রদেশেরই নর্মদাপুরাণের বাসিন্দা তিনি। গত দশ মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই মহিলাকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।