তেজপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে আকাশে উড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আধ ঘণ্টা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আকাশে কসরৎ দেখায় যুদ্ধবিমানটি। দ্রৌপদী মুর্মু দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুদ্ধ বিমানের ককপিটে বসলেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অসম সফরে রয়েছেন। শনিবার তিনি সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওঠেন। রাষ্ট্রপতি এদিন তেজপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ওড়েন। তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বায়ু সেনার বিমানটি যাত্রা করে। আধ ঘণ্টা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আকাশে কসরৎ দেখায় যুদ্ধবিমানটি।
শনিবার সকালেই অসমের তেজপুর বায়ু সেনা ঘাঁটিতে যান রাষ্ট্রপতি মুর্মু। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এর পরই Sukhoi-র ককপিটে বসতে ফাইটার পাইলটদের পোশাক পরেন রাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্রপতির সঙ্গেই ওই যুদ্ধবিমানে আধ ঘণ্টা মাঝ আকাশে ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানও। উল্লেখ্য, ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম এই Sukhoi 30 MKI যুদ্ধবিমান।দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট রাশিয়ার তৈরি এই জেটের ককপিটে রয়েছে দু’টি আসন। মাঝ আকাশ থেকে শত্রু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে সেখান থেকে একসঙ্গে হামলা চালাতে পারেন দুই ফাইটার পাইলট। দ্রৌপদী মুর্মুই প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি নন, যিনি যুদ্ধ বিমানের ককপিটে বসলেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রতিভা পাটিলকে নিয়েও উড়েছিল এই Sukhoi 30 MKI ফাইটার জেট। ২০০৯-তে পুনের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়েছিল সেই যুদ্ধবিমান। এবার দেশের আর এক মহিলা রাষ্ট্রপতি এই যুদ্ধ বিমানে উঠলেন। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৭ এপ্রিল কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গজা উৎসব-২০২৩-এর উদ্বোধন করেন। পরে গুয়াহাটিতে তিনি মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান-২০২৩-এর পতাকা যাত্রা করেন। একই দিনে, তিনি গৌহাটি হাইকোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উদযাপনেও অংশ নেন।