মারাঠা রাজনীতিতে আবারও কাকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা অজিত পাওয়ারের। শরদ পাওয়ারের এন সি পি ভাঙ্গনের মুখে। অজিত অনুগামী সাত জন বিধায়ক নিখোঁজ। অজিত পাওয়ার ও তার অনুগামী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে মারাঠা রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।
শিবসেনার পর এবার কি ভাঙ্গন ধরতে চলেছে এনসিপি তে? মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। এন সি পি প্রধান শরদ পাওয়ারের দলের সাতজন বিধায়ক নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর। এই ৭ বিধায়কই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ উঠেছে বিজেপিতে ভাঙন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিজেপি। ইতিমধ্যে অজিত পাওয়ারের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। দলের একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও অজিত পাওয়ার তাতে যোগ দেননি। কেন দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন তিনি? যথাযথ উত্তর নেই এনসিপি নেতৃত্বের কাছেও। মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহাবিকাশ অঘাড়ী-র বৃহত্তম দল এন সি পি। দলের পরিষদীয় নেতা হিসেবে জুলাই মাস থেকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বে অজিত পাওয়ার। বর্তমানে অজিত পাওয়ার সরকারি গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধা ছেড়ে দিয়েছেন। এর জেরে অজিত ও তার অনুগামীদের দল ছাড়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।
মারাঠা রাজনীতিতে দল ভাঙানোর খেলা এই নতুন নয়। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের পর বিদ্রোহী হয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। তার সমর্থনে বিজেপি সরকার গঠন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসেন অজিত পাওয়ার। তবে সেই সরকার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। শিবসেনা প্রধান উদ্ভব থাকলে নেতৃত্বে রাজ্যের জোট সরকার গড়ে ওঠে। অজিত ফের এনসিপির মূল স্রোতে ফিরে আসেন। তবে আবার বিদ্রোহ দেখা যায় মারাঠা রাজনীতিতে। একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে ভাঙ্গন ধরে শিবসেনায়। মুখ্যমন্ত্রীত্ব হারাতে হয় উদ্ভব ঠাকরেকে। মারাঠা রাজনীতিতে আবারও ভাঙ্গনের চর্চা। কাকা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা ভাইপো অজিত পাওয়ারের।