দিল্লি গিয়ে ১০০দিনের কাজের টাকা যেভাবেই হোক নিয়ে আসব : অভিষেক


শনিবার,০৮/০৪/২০২৩
392

“বুথ সভাপতি অঞ্চল সভাপতিদের জানাচ্ছি, নববর্ষের পরদিন থেকে এক মাসের মধ্যে অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে ১০০ দিনের যারা বঞ্চিত রয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করুন, প্রধানমন্ত্রী এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখুন, এক কোটি চিঠি আমার হাতে তুলে দিন পরের দিন আমি দিল্লি যাব। সাধারণ মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা যেভাবেই হোক দিল্লি থেকে নিয়ে আসবো।”আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি হুংকার ছুড়ে দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের সৌজন্যতা দুর্বলতা নয়, সাধ্যমত সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে দিল্লি যাবো প্রয়োজনে দিল্লির স্তব্ধ করে দেব । মসনদ করতে দেব না।

১০০ দিনের টাকা না দেওয়ার প্রসঙ্গকে সামনে এনে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধুলো করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,এটা তৃণমূল কংগ্রেস বলছে না বিজেপি নেতারাই বলছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের টাকার অপেক্ষা করেন না, মানুষের জন্য যা করার তিনি করবেন।” রাস্তার টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু পথশ্রী আটকাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি অঞ্চলে কোন না কোন রাস্তা পথশ্রীর আওতায় এসেছে এবং কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি কটা করে বলেন কেন্দ্রীয় সরকার চলছে ই ডি এবং সিবিআই এর ভরসায়। ১০০ দিনের কাজের টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রয়োজন হলে তদন্ত করুন সবাই দোষী নয় যারা দোষী তাদেরকে শাস্তি দিন, তাই বলে সাধারণ মানুষের রুজি রুটি র অধিকারের অর্থ আপনি আটকে রাখতে পারেন না। তিনি বলেন বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে লড়াই করুন বাংলার মানুষ ক্ষতি করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলেও হুংকার দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ই এপ্রিল থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই আলিপুরদুয়ারের সভা মঞ্চ থেকেই। তিনি ভূত সভাপতি অঞ্চল সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে তারা তাদের এলাকায় গিয়ে ১০০ দিনের টাকা না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের তালিকা তৈরি করুন, সেই তালিকা অনুযায়ী চিঠি তৈরি করুন। এই কর্মসূচির মেয়াদকাল এক মাস। এই এক মাসের মধ্যে ১ কোটি চিঠি তৈরি করুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক নিজে এসে সেটা নিয়ে যাবে। শুধু তাই নয় পরের দিন এই এক কোটি ছিটি নিয়ে তিনি স্বয়ং যাবেন দিল্লিতে,সাধারণ মানুষের সামনে তিনি কথা দিয়ে বলেন ১০০ দিনের টাকা সাধারণ মানুষের অধিকারের টাকায় যেভাবেই হোক নিয়ে আসবেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি উত্তরবঙ্গ কি আলাদা রাজ্য করার কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। আলিপুরদুয়ার বাবুরহাট জনসভা থেকে বিজেপি সংসদ বিধায়ক সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শাখা কোচবিহারের সাংসদ নিশিথ প্রামাণিক কে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলা ভাগ হবে না। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই। পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গ।” তিনি আরো বলেন,”আগামী ছয় মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষ যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখতে চাই সেভাবেই সংগঠন তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অসংখ্য সৈনিক থাকতে এক ছটাক জমিও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের সংবিধানে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ বলে আলাদা কিছু নেই, পশ্চিমবঙ্গ একটাই নাম।” তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সামনে তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি মিথ্যে তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে জেলে পুড়ে দেবেন, কিন্তু মানুষের সাথে বেইমানি কোন অবস্থাতেই সহ্য করব না। পাশাপাশি সেখানেই বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন অভিষেক। বলেন, “অনেকে বলছে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ। কীসের উত্তরবঙ্গ? অনুরোধ করছি, কেউ উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ বলবেন না।” এদিনের সভা থেকে সরাসরি বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ক্ষমতা থাকলে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করে দেখান।” বাংলাকে ভাগ করার দাবি পুরোটাই চক্রান্ত বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে বিজেপিতে আক্রমণ করেন তিনি। তা নিয়ে এদিন অভিষেক প্রশ্ন করেন, “যে প্রকল্পটা বাংলায় চলছে, তা কেন বাংলা আবাস যোজনা হবে না?” বিজেপি নেতারা ফলাও করে বলেছেন, তারাই বাংলার সাধারণ মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। একই সাথে সংবাদমাধ্যমকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন সংবাদ মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ সফর ব্যবহার করেন না, যেখানে সভা হয় সেই জায়গায় নাম বলেন। এটাই চাই, এটাই বাংলা।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট