সব ফাইল খুলবো, পেনশন টা নাড়াচাড়া করবো ? সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ মমতার


বুধবার,২৯/০৩/২০২৩
441

পূর্ব ঘোষণা মতো, বুধবার দুপুর থেকে ধরনায় বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ধর্ণা মঞ্চে রয়েছেন শুখেন্দুশেখর রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, বিরবাহা হাঁসদা, অরূপ রায়, ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ। মূলত বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুদিনের ধর্না কর্মসূচি। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অনুরোধ আবেদনে কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে গণআন্দোলনের এই বিশেষ পথই বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদেই এই ধারণা কর্মসূচি নয়। গ্যাসের কাটআউট জানান দিচ্ছে, দেশ জুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদেও ধরনায় বসেছেন মমতা। সেইসঙ্গে সংবিধান বই। দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। তাকে রক্ষা করা চাই-ই চাই। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকপথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এর চেয়ে বড় প্রতিবাদ আর কীইবা হতে পারে? আর সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন সংবিধানের গণ্ডি মেনেই। কেন্দ্রের থেকে রাজ্য সরকার পায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ১০০ দিনের কাজে বকেয়া ৭,০০০ কোটি টাকা আবাস যোজনায় পাওনা ৮, ২০০ কোটি টাকা।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ধরনামঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে দেশজুড়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির। গৌতম আদানিকে বাঁচাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও এলআইসিতে রাখা জনগণের টাকা নয় ছয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দাবী করা হয়েছে তদন্তের। বেসরকারিকরণেরও বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়েছে ধরনা মঞ্চ থেকে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতান্ত্রিক পথে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার ঘটনা এদেশের ইতিহাসে বিরল। কিন্তু এখন বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে সেটাই বাস্তব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারি না? সংবিধান সম্পর্কেও জ্ঞান দিচ্ছেন। আমি তো দলের পক্ষ থেকে করছি। আমার তো দুটো পোস্ট। আমি টাকা আদায়ের জন্য বারবার বসবো। চোর ডাকাতদের লিস্ট… সব ওই দলে গিয়ে বসে আছে। মিটিং মিছিল করার অধিকার সবার আছে, দাঙ্গা করার অধিকার নেই।

মুর্শিদাবাদ, মালদার চাকরি পেয়েছিল কোন এজেন্সির মাধ্যমে? দেখতে বলবো। শুভেন্দু নাম না করে বলেন, সবে কথা বলতে শিখিয়ে ছিলাম। কতবার হেরেছিল। হাতে করে জিতিয়ে ছিলাম। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল?
রাজ্যের সাফল্য নিয়ে বলেন, ১০০ দিনের কাজে পাঁচবার সেরা রাজ্য। আবাস যোজনায় সেরা হয়েছি।গ্রামীন রাস্তায় চারবার সেরা হয়েছি। বিজেপিকে কটাক্ষ, ২০২৪ তোমরা আসবে না, নিশ্চিত থাকো। সাধারণ মানুষ জবাব দেবে। সিপিএমের নাম না করে হুঁশিয়ারি, সব ফাইল খুলবো, পেনশন টা নাড়াচাড়া করবো? গণশক্তিতে চাকরি করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কী হবে? আমি চাকরি খাব না, চাকরি দেব।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট