বিকল্প জোটের নয়া দিশা। অখিলেশ যাদবের পর নবীন পট্টনায়ক। একেবারে আতসকাচের তলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলিঙ্গ সফর। মঙ্গলবারই ওড়িশায় এসেছেন তিনি। বুধবার শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কল্যাণ কামনা করলেন রাজ্যবাসীর। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ দর্শন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল ওড়িশা প্রশাসন। অতি জনপ্রিয় তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এতটা কড়াকড়ি।
বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। ওইদিনই কলকাতায় ফিরবেন তৃণমূল নেত্রী।
বৃহস্পতিবারের সম্ভাব্য বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। কী হতে চলেছে বৈঠকে? কী হবে আলোচনার বিষয়? এইসব প্রশ্নেই ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতি।
আসলে, জল্পনাকে দোষ দেওয়া যায় না। ওড়িশা সফরের প্রাক মুহূর্তে, দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে, সংক্ষিপ্ত সফরের মূল সুরটি বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-সুর কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে। সে-সুর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। সেই সুর সম্ভাব্য তৃতীয় ফ্রন্টের।
অর্থাৎ, বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার কেন্দ্রীয় আচরণের বিরুদ্ধে ২৯ মার্চ দুপুর বারোটা থেকে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনা চলবে পরের দিন সন্ধে পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি যে ধরনায় বসবেন, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ধরনার পরও জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে এই নিয়ে কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। খেয়াল করবেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণকে মুখ্যমন্ত্রী ‘ডিক্টেটারশিপ’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংবাদিকদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করছেন, তার ক’দিন আগেই বাংলায় এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টি-প্রধান অখিলেশ সিং যাদব। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ নিয়ে, তোপ দেগেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে, অ-কংগ্রেসী বিজেপি-বিরোধী জোটের পরিকল্পনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
এর দিন-কয়েক যেতে না যেতে, মমতার ওড়িশা সফর। পুরীর মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর, এখন বৃহস্পতিবারের মমতা-নবীন বৈঠকের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১৯ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে সুর ক্রমশ চড়া হচ্ছে মোদী-বিরোধীদের। চড়া হওয়ার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে নানা সুরের ঐকতান হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ-রাজ্যের প্রেক্ষাপটে সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে ইস্যু করেই ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ফলে ঐকতানের তৃতীয় ফ্রন্ট খুব অসম্ভব নয় আর। তাতে কি সামিল হবে নবীনের সুরও? কান পেতে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে রাজ্যে নয়া বার্তা। বিজেপি সরকারকে হটানোর বার্তা। আর সেই লক্ষ্যে কলিঙ্গ সফরে বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ পাকিস্তানের অন্তত ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন…
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ৭১ হাজারেরও বেশি প্রাপকের হাতে চাকরীর নিয়োগ পত্র…
ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় পুঁজিবাজার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের (এফপিআই) কাছ থেকে ব্যাপক লগ্নি লাভ করেছে। পুঁজিবাজারে জমা…
কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে গতকাল আইএসএল ফুটবলে কেরালা ব্লাস্টার্স এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ গোলে মহামেডান…
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর আজ থেকে হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যের এক নতুন উজ্জ্বল মঞ্চ। সূচনা হয়েছে ৩৭তম বিষ্ণুপুর…
প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী ও গুরু পৌষালী মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। শনিবার কলকাতায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস…