রাজ্য সরকার আগামী ৩ বছরে বিভিন্ন জেলায় ১০০ টি শিল্প পার্ক তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভা শিল্প পার্ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি পৃথক নীতি চালু করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার নতুন এই নীতি চালু করার পরে স্বীকৃত শিল্প পার্ক তৈরির জন্য ৫৩ টি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ওই পার্ক নির্মাণের জন্য ১৫০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও ১৪ টি প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত ওই শিল্প পার্কের জন্য প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণ ৮০০ একরের বেশি। ২০২১ সালে শিল্প পার্ক সংক্রান্ত নতুন নীতি অনুযায়ী পাঁচ একর জমিতে এই ধরনের পার্ক তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে শিল্প পার্ক তৈরীর জন্য ন্যূনতম জমির পরিমাণ ছিল ২০ একর। কিন্তু বৃহত্তর কলকাতায় একলপ্তে এতটা জমি পাওয়া কঠিন বলে রাজ্য সরকার নতুন শিল্প নীতি তৈরি করেছে। শিল্প দফতর সূত্রে খবর, শিল্প পার্ক সংক্রান্ত নতুন নীতি ঘোষণা করার পর সব থেকে বেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে হাওড়া জেলা থেকে। ওই জেলার রানিহাটিতে প্রায় ৪৬০ একর জমিতে ফাউন্ড্রি শিল্প পার্ক এবং সাঁকরাইলের ১১০ একর জমিতে একটি রাবার পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
শিল্প দফতর সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের শিল্প গড়ার উপযোগী সরকারি জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। মোট ৪৩৯.৮৯ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। তালিকায় আছে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ ও শিলিগুড়ি। একটি পার্ক গড়তে ন্যূনতম পাঁচ একর জমি লিজ়ে নিতে হবে। এসএআইপি-র অধীনে পার্ক গড়লে শর্তসাপেক্ষে আর্থিক সুবিধা মেলে। রাজ্য নিখরচায় সাব স্টেশন বসায়, প্রয়োজনে মূল রাস্তা থেকে পার্ক পর্যন্ত নির্দিষ্ট দূরত্বের সংযোগকারী রাস্তা গড়ে। তবে এই প্রকল্পে পার্ক গড়লে সেখানে ন্যূনতম কিছু এমএসএমই-কে জায়গা দেওয়ার শর্তও রয়েছে। যাতে একটি পার্কে একাধিক শিল্পের বিকাশ ঘটতে পারে।