ভারতীয় সংষ্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতাকে মিলিয়ে দেবার কাজটা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে করে চলেছে ‘ ঋতাছন্দা’। এটি নিছকই একটি সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান নয়, এর কর্মকান্ড সুদূর প্রসারী। দেখতে দেখতে নয় বছর পার করে ফেলল ‘ঋতাছন্দা’। সেই নবম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ মার্চ কলকাতার উত্তম মঞ্চে আয়োজন করেছে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ-রাগিনীর মাধ্যমেই ভারতীয় সংষ্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতাকে মেলাবার প্রয়াস নিয়েছে ‘ঋতাছন্দা’। পরিবেশনায় এস এন বি ফাউন্ডেশন।
‘ঋতা’– এক গভীর শব্দবন্ধ। এর অর্থ যিনি গভীরভাবে অতীতকে উপলব্ধি করতে পারেন আবার যিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ও। ঋতা এক ছন্দের নাম। ঋকবেদে এই ছন্দের কথা বলা হয়েছে। এই গোটা বিশ্বব্রহ্মান্ড ঋতা ছন্দের তালেই বয়ে চলেছে। কোথায় নেই এই ছন্দ! গোটা ব্রহ্মাণ্ডই তো একটা ছন্দের তালে চলছে—এই যে ঋতুপরিবর্তনের ছন্দ, দিন-রাতের ছন্দ, সাগরে ঢেউয়ের ওঠা-পড়ার ছন্দ, সব কিছুই এই ঋতা ছন্দে বাঁধা। এই ছন্দই সত্যের আরাধনার মূলমন্ত্র। এই আরাধনাই নয় বছর ধরে করে আসছে ‘ঋতাছন্দা’ প্ৰতিষ্ঠান। এমন মৌলিক ভাবনার পেছনে যাঁর চিন্তাভাবনা তিনি হলেন দেওঘরের দেব সঙ্ঘের শ্রীমৎ সৌমেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী মহাশয়। ভারতীয় সংষ্কৃতির সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা যিনি অনুভব করেছিলেন, তার ফলস্বরূপ এই প্রতিষ্ঠান।
১১মার্চ উত্তম মঞ্চে হতে চলেছে ঋতাছন্দার নবম বার্ষিক অনুষ্ঠান। তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা ওইদিন উপস্থিত থাকবেন। বিশিষ্ট ওড়িশিশিল্পী অলকানন্দা রায়, প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ কুমার এবং আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করবেন সারা দেশের গুণী শিল্পীরা। সেতার বাজাবেন বিদুষী সাহানা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অনল চট্টোপাধ্যায় এবং ব্রজেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বাঁশিতে প্রবীণ গদখিনদীর মতো নামিদামি শিল্পীরা। থাকছে দুটো নৃত্যানুষ্ঠান। ‘দশমহাবিদ্যা’ এবং ‘ফায়ার’। সম্রাট দত্তের পরিচালনায় হবে ‘দশমহাবিদ্য’ এবং গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্যর পরিচালনায় দেখা যাবে ‘ফায়ার’।