করোনা মুক্ত দেশ ঘোষণা হয়েছে। ভারত সহ বিশ্বের সংখ্যাধিক্য নাগরিকদের মন থেকে দূর হয়েছে করোনা ভীতি। তবে এখনো কিছু মানুষের মধ্যে রয়ে গিয়েছে আতঙ্ক। মন থেকে দূর হয়নি ভরা কোভিডের দিনগুলির কথা। আতঙ্ক কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে তার দৃষ্টান্ত উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রামের ছক্করপুর এলাকার একটি ঘটনা। কোভিডের প্রথম ঢেউ থেকে সন্তানকে নিয়ে টানা তিন বছর ঘরবন্দী এক মহিলা। নিজের স্বামীকে পর্যন্ত ঘরে ঢুকতে দেননি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো, জঞ্জাল জোড়ো করা সব ঐ একই ঘরে। বন্ধ দরজা ও জানালা। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশি সাহায্যে উদ্ধার করা হয় মা ও সন্তানকে।
ওই মহিলার স্বামী শিশু কল্যাণ দপ্তরের দ্বারস্থ হন। আধিকারিকরা সামনে থেকে পুলিশের সাহায্যে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। এ ধরনের ঘটনায় শিহরিত গুরুগ্রামের নাগরিকরা। আলো-বাতাসহীন স্যাতসেতে আবর্জনা ভর্তি বন্ধ ঘরে কিভাবে টানা তিন বছর কাটালেন তারা? দেশজুড়ে যখন কোভিডের ভয় কেটে গিয়েছে তখনও কেন গৃহবন্দী থাকলেন? বিশিষ্ট মনোবিদ ঝিলম বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, চারপাশে এত মৃত্যু সবাই সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেননি। অনেকে হারিয়েছেন মানসিক ভারসাম্য। এ ধরনের ঘটনা তারই প্রেক্ষিত। কোভিড আতঙ্কের ভয়াবহতা সাধারণ নাগরিকদের মনে কতটা প্রভাব ফেলেছিল তার উদাহরণ উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রামের এই ঘটনা। মনোবিদরা বলছেন, এখনো কোভিড ফোবিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি সকলে। গত দু বছরের কোভিড ভয়াবহতা সমাজ জীবনে যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে গিয়েছে এ ধরনের ঘটনা তার সাক্ষ্য বহন করছে।