কমবয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ও ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের মত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে নারী ও শিশু পাচার বাড়ছে। তাদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করতেও পাচারকারীরা এইসব প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে বলে রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন। পাচারকারীদের এই কৌশল মোকাবিলা করে তাদের আটকাতে তাঁর দফতর পুলিশ, সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কলকাতায় আজ বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ আয়োজিত এক রাজ্যস্তরের আলোচনা চক্রের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন সামাজিক মাধ্যমের এই অপব্যবহার নিয়ে জনমানসে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেও তাঁর দফতর কাজ করছে। গ্রামাঞ্চলে স্কুল গুলিতে কন্যাশ্রী ক্লাবগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন কলেজে লাগাতার আলোচনা চক্র এবং প্রচার সভার আয়োজনও করা হচ্ছে। মানব পাচার রোধে এবং উদ্ধার হওয়া মহিলা ও শিশুদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরাতে ইউনিসেফ যেভাবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী তার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মহম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মানব পাচার রুখতে ইউনিসেফ সরকারের পাশাপাশি পঞ্চায়েত বিভিন্ন শিশু অধিকার রক্ষা সংগঠন,স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল স্তরে প্রচার চালাচ্ছে।