ভারতীয় রেল গত ৯ জুন দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক লেভেল ক্রসিং সচেতনতা দিবস পালন করে। রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং-এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পূর্ব রেলওয়ে শিয়ালদা ডিভিশন রক্ষিযুক্ত লেভেল ক্রসিং গুলিতে রেলের শীর্ষকর্তা, পরিদর্শক, রেল নিরাপত্তা বাহিনী, অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট অ্যান্ড গাইড এবং অসামরিক প্রশাসনের কর্তাদের শামিল করে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে।
“পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম শ্রী শীলেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, “লেভেল ক্রসিং সচেতনতা প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্য সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এবং লেভেল ক্রসিং ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে রেল লেভেল ক্রসিং গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা কমানো। মানুষ যাতে রেল লেভেল ক্রসিং ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকেন ও বিভিন্ন সুরক্ষা বিধি মেনে চলেন, অন্যান্যদেরও যাতে সচেতন করে তোলেন সে বিষয়ে প্রচার করতে সময়ে সময়ে রেলের তরফ থেকে এই ধরনের নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।”
তিনি জানান ‘সময়ের থেকে জীবনের মূল্য বেশি’ এই মর্মে পথচারীদের মধ্যে একটি এসএমএস প্রচার কর্মসূচীও হাতে নেওয়া হয়েছে। রেল সমস্ত লেভেলক্রসিং ব্যবহারকারীদের কাছে বার্তা দিচ্ছে -থামুন, ট্রেন আসছে কিনা দেখুন, তারপরেই লেভেলক্রসিং অতিক্রম করুন।
শিয়ালদা ডিভিশনের এডিআরএম শ্রী সুজিত এস প্রিয়দর্শী বলেন,” আমরা রক্ষিত লেভেলক্রসিং গুলিতে সচেতনতা বাড়াতে প্যাম্ফলেট এবং হ্যান্ডবিল বিলি করার কর্মসূচি নিয়েছি। পাশাপাশি শিয়ালদা এবং বারাসাত স্টেশনে যৌথ গোপন তল্লাশি, পথনাটিকা এবং রোড শো জাতীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।”
পূর্ব রেলওয়ে শিয়ালদা ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শ্রী বিপিন কুমার বলেন, ” এই সচেতনতা প্রচারের আরেকটি গুরত্বপূর্ন বক্তব্য হলো, কখনোই বন্ধ থাকা লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করবেন না এবং লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। একমাত্র এই অভ্যাস গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যেতে পারে।”
জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে লেভেল ক্রসিং এর নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক লেভেলক্রসিং সচেতনতা দিবস পালনের সূচনা হয়।২০০৯ সাল থেকে রেলের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ রেলওয়ের উদ্যোগে এবং সারা বিশ্বের রেল পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই দিনটি পালনের সূচনা হয়। আইএলসিএডির এই বার্ষিক কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ টি দেশ প্রতিবছর অংশ নেয়।