ভর সন্ধেবেলা কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সন্ধ্যায় ট্যাংরায় একটি চামড়ার গুদামে ভয়াবহ আগুন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। আশেপাশে বেশ কিছু বসতি থাকায় বড় বিপদ এড়াতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। গুদাম টিতে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তাও জানা যায়নি এখনও। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনিতেই ঘিঞ্জি এলাকা ট্যাংরা। পরপর চামড়ার কারখানা রয়েছে এখানে। কোনওভাবে এখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই। শনিবার সেই ঘটনাই ঘটে গেল। আচমকা মেহের আলি লেনে একটি গুদাম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা নজরে পড়ে আশপাশের মানুষজনের।
তাঁরাই দুর্ঘটনাটি অন্যদের নজরে আনেন। খবর পাঠানো হয় দমকলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মুহূর্তে মোট ১০টি ইঞ্জিন ছুটে যায়। ততক্ষণে আগুন অবশ্য ছড়িয়ে পড়েছে বেশ খানিকটা। তবে আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি বলেই দমকল সূত্রে খবর। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু হলেও বিপদ এখনও কাটেনি বলেই প্রাথমিক ভাবে জানাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেখানে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তাও এখনও জানা যায়নি। ফলে দ্রুত আগুন নেভানোর সঙ্গে সঙ্গে দমকলকর্মীরা সেদিকেও নজর রেখেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক তাপমাত্রার জেরে ভেঙে যায় গুদামের চাল। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকলের উদাসীনতায় এত বড় বিপর্যয় ঘটল। ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা দমকলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানা যাচ্ছে। দমকল সূত্রে খবর, আগুন যাতে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটাই আপাতত মূল লক্ষ্য। সুরক্ষার স্বার্থে গুদাম সংলগ্ন বাড়িগুলি খালি করে মানুষজনকে নিরাপদে স্থানে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় দমকল বিভাগ। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।