করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা পৌর সংস্থা কর্তৃপক্ষের অমানবিক মনোভাবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করলেন বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। এদিন কলকাতা পৌর সংস্থায় সংগঠনের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। তাদের হুশিয়ারি যে তাদের দাবি না মানা হলে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি অবস্থান করবেন তারা। যদি তাতেও যদি তাদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন তারা। এদিন কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হয়। তাদের দাবি ছিল যে কলকাতা পৌর সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী দের পারিতোষিক ও উত্তরবেতন বা পেনশন এবং অর্জিত ছুটি বাবদ অবসরকালীন প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না তারা। শুধুমাত্র গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেনশন বাবদ অর্থ ই সি এসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি বকায়া পাওনা কিছু দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি ও জারি করা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন অনুতোষ সরকার।তিনি বলেন যে অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি কাজ করছেন মেয়র। যদি ও তিনি কোনোই কাজ আইনি করে না বলে অভিযোগ তারা। আমাদের দাবি জে অবসর নেওয়ার পর শ্রমিক কর্মচারী দের একমাসের মধ্যে সমস্ত বকায়া মিটিয়ে দিতে হবে ।
তিনি অভিযোগ করেন যে আপনাদের মাধ্যমে মেয়র বিবৃতি দিয়েছিলেন যে সমস্ত বকায়া এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা হয়নি। তিনি এদিন সরাসরি আক্রমণ করে বলেন যে যথারীতি তৃণমূলের চরিত্র যে তারা যা বলে সেটা তারা করেনা। এছাড়া বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ অভিযোগ করা হয় যে পৌর সংস্থার কর্তৃপক্ষ কে গত কয়েক বছর ধরে দাবি জানানো হয়েছে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারী দের মত রাজ্য স্বাস্থ্য বিমার আহতায় পুর কর্মচারী দের যাতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই বাবদ কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন কলকাতা পৌর সংস্থার বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ সরকার। মাত্র ২০২ টাকা দিয়ে অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের ভাওতা দিচ্ছে কলকাতা পৌর সংস্থা বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবি শহর রোজগার যজনার নামে তাদের কে স্থায়ী কর্মীদের থেকে বেশি খাটানো হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এদিন জানান যে এই ভভে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী দের ও ধাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তিনি এদিন দাবি করেন যে আমরা ঠিকা কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছি। যদি সেটা নয় হয়।
তাহলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু সেটা ও করছেন না মেয়র। মানুষ শুনলে হাসবে যে মাত্র ২০২ টাকা দিয়ে কলকাতা পৌর সংস্থার ঠিকা কর্মচারীরা। বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের এটাও অভিযোগ যে গত দুমাস ধরে অনেক ১০০ দিনের কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া তিনি জঞ্জাল বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে তুগলকি আচরণ করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন যে বিভাগে বৈষম্য করা হচ্ছে। এক অংশ কর্মচারীদের বায়ো মেট্রিক দিয়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এবার অনেক কর্মচারী দের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজিরা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অনুতোষ সরকার। তবে পৌর সংস্থার সূত্রের খবর যে আজকেই সমস্ত ১০০ দিনের কর্মীদের বকায়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিন কলকাতা পৌর সংস্থার বিভিন্ন বিভাগের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে মূল গেট থেকে নিয়ে লাইসেন্স গেট হয়ে মূল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয় কে এম সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ মিছিল।