শফিক-রফিক-বরকত দের স্মরণ করতে প্রস্তুত ঢাকা


রবিবার,২০/০২/২০২২
1176

তৌহিদুর রহমান, ঢাকাঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারী। বাঙালির স্মরণীয় এক দিন। বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী শাসকদের থেকে ছিনিয়ে এনেছিল ভাষার অধিকার।

৮ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার [একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২] সূর্যোদয়ের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা দু’জন দু’জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। ছাত্র-জনতার প্রাণের দাবী ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল। এক পর্যায়ে সমাবেশ থেকে কিছু ছাত্র ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে বের হয়ে আসেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত আসতেই পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সেখানেই বরকত,রফিক,জব্বারের বুকের তাজা রক্তে লাল হয় পিচঢালা পথ। তাৎক্ষণিকভাবে সারা বাংলায় ছাত্র হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পিছু হটে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী। বাংলাই হয় বাঙালির মাতৃভাষা।

পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে কানাডায় বসবাসরত দুই বাঙালি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণার দাবী জানান। পরের বছর ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২১শে অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে ‘এখন থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ’ প্রস্তাবটি পাশ হয়, যা বাংলাদেশে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বাংলাদেশে প্রতিবছর শহীদ বিদস হিসেবে পালন করা হয় দিনটি। শহীদদের স্মরণ করতে সেজে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ওপার বাংলা। শহীদরা চীর অমর হোক। বাংলা ভাষার মর্যদা রক্ষা হোক। বিশ্বজুড়ে পালিত হোক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলার মায়ের ছেলেদের অমর ইতিহাস ছড়িয়ে পড়ুক দেশে দে-শে।

https://dai.ly/x882ktw

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট