প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও “বিভাজন” বিতর্ক। ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে দেখা যাবে না বাংলা, ঝাড়খন্ড, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের ট্যাবলো। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যাবলো বাদ সম্পর্কিত যুক্তি নিয়ে। আর উঠছে রাজনীতির অভিযোগ। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখরিত হয়ে উঠবে দিল্লির রাজপথ। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের অতিথি অভ্যাগতরা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ফুটে উঠবে দেশপ্রেমের কোলাজ। তবে প্রস্তুতিপর্ব থেকেই এবার বিতর্কের ঘনঘটা। একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাদ পড়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠেছে রাজনীতির অভিযোগ। যেমন বাদ পড়েছে বাংলার তৈরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বিষয়ক ট্যাবলো তিন্নি সাঁওতাল বিদ্রোহের উপর তৈরি ঝাড়খণ্ডের ট্যাবলোও বাদ পড়েছে। কোন ক্ষেত্রেই উপযুক্ত যুক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। চেয়েছিলেন তার হস্তক্ষেপ। ফল মেলেনি। কেজরিওয়াল সরকারেরও আশঙ্কা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোন সবুজ সঙ্কেত এখনো না আসায় দিল্লিও বাদ যেতে পারে। বেছে বেছে কেন অবিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির ট্যাবলো বাদের তালিকায়? আর সেখান থেকেই উঠছে রাজনীতির প্রশ্ন!
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির কাছে মোট ৫৬ টি ট্যাবলোর প্রস্তাব জমা পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে প্রদর্শিত হবে মোট ২১ টি ট্যাবলো। তারমধ্যে নয়টি ট্যাবলো বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রকের। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে মোট ১২ টি ট্যাবলো স্থান পাচ্ছে। আর এই বাছাইয়েই বাদ পড়েছে একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের ট্যাবলো। সেখান থেকেই রাজনীতির অভিযোগ উঠছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরেও সেই বিভাজনের বিতর্ক থেকেই গেল।