কোভিড পর্বেও ঊর্দ্ধমুখী বাংলার অর্থনীতি। ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ স্টাটিস্টিকস এন্ড প্লানিং ইমপ্লিমেন্টেশন এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত অর্থিক বছরের তুলনায় এক লক্ষ কোটি টাকার বৃদ্ধি ঘটেছে। এই অতি মারি সময়ের মধ্যেও বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলার অর্থনীতি। করোনা আবহে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অর্থনীতিতে চরম মন্দা। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও চাঙ্গা রয়েছে বাংলার অর্থনীতি। বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যকে টেক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলা।
ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিস্টিকাল এন্ড প্লানিং ইমপ্লিমেনটেশন এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে পৌঁছেছে বাংলা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় যা বৃদ্ধির পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ চলতি অর্থ বর্ষে ১৪ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতির পথে হাঁটতে শুরু করেছে এরাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পিত নানা সামাজিক পরিষেবা এবং আর্থিক সংস্কারের ফলেই সাধারণ মানুষের হাতে নগদের জোগান বেড়েছে। কৃষি থেকে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এরফলেই বাংলার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাম জামানার শেষ পর্বে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে রাজ্যের অর্থনীতি ছিল ৪.৬০ লক্ষ কোটি টাকার রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১১-১২ আর্থিক বছরে তা বেড়ে দাড়ায় ৫.২ লক্ষ কোটি টাকায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বাংলার অর্থনীতির বৃদ্ধি ছিল ১২ লক্ষ কোটি টাকার কোভিড পরিস্থিতিতেও বাংলার অর্থনীতি বৃদ্ধির পথে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার মাইল স্টোনে পৌঁছায়। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যকে একধারে অতিমারি মোকাবিলা করতে হয়েছে পাশাপাশি আম্ফান, যশের মত ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে হয়েছে। এ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দৈনন্দিন অর্থনীতির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। তার জেরেই এই সাফল্য বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।