আজ বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের উদাস্তু কৃষক সম্প্রদায়ের পাট্টা পাওয়া জমির নামপত্তন ও পরচা প্রদান নিয়ে জয় কিষাণ আন্দোলন বড়জোড়া ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক কে দাবিপত্র পেশ করে। সেই দাবিপত্রের প্রতিলিপি পেশ করা হয়: (১) মুখ্যমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী (ভূমি ও ভূমি সংস্কার ও উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর), শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে (২) প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ভূমি ও ভূমি সংস্কারও উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর, শ্রীমতি স্মারকি মহাপাত্র কে (৩) জেলা শাসক, বাঁকুড়া, শ্রীমতি কে রাধিকা আইয়ার কে এবং (৪) অতিরিক্ত জেলা শাসক, ভূমি সংস্কার, বাঁকুড়া, শ্রীমতি প্রিয়দর্শিনী এস কে। (দাবিপত্রের প্রতিলিপি সংলগ্ন)
দাবিপত্রে জানানো হয় যে ভারতের স্বাধীনতার পরবর্তীকালে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গ (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে আসা বহু উদাস্তু পরিবারকে বড়জোড়া ব্লকে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুনর্বাসন দেয় এবং তারা বসতি স্থাপন ও কৃষিকাজ শুরু করেন। পরবর্তী কালে বিভিন্ন সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের বাস্তু এবং কৃষি জমির পাট্টা প্রদান করে কিন্তু সরকারী বৈধ মালিকানার পাট্টা পাওয়া সত্ত্বেও এবং ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে বহু আবেদন করা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ তাদের জমির পরচা পাননি। দিনের পর দিন ধরে তাদের আবেদন অন্যায়ভাবে অমীমাংসীত করে ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছে। নিজ নামে জমির পরচা না পাওয়ার জন্য বড়জোড়া সমষ্টির, বিশেষ করে রামকৃষ্ণ পল্লী, পল্লীশ্রী কলোনী, বড় মানাচর এলাকার বৈধ পাট্টা পাওয়া উদ্বাস্তু কৃষিজীবী মানুষ কিষাণ সম্মান নিধি, কৃষক বন্ধু, বাংলা শস্য বীমা, বাংলার বাড়ি, নির্মল বাংলা ইত্যাদি সহ বহু সরকারী যোজনার সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
জয় কিষাণ আন্দোলন, বাঁকুড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে অবিলম্বে সমস্ত উদ্বাস্তু কৃষকদের নামপত্তনের আবেদনের মীমাংসা আগামী ১ (এক) মাসের মধ্যে সঠিক ভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে, অন্যথায় উদ্বাস্তু কৃষকদের প্রতি সরকারের উদাসীনতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে এবং তাদের বৈধ দাবি আদায়ের জন্য জয় কিষাণ আন্দোলন, বাঁকুড়া জেলা কমিটির ননী রায়ের নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলনে হবে।