আগামী দু’বছরে শিল্পক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে হাওড়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিল্পে হারানো গৌরব ফিরে পেতে চলেছে একদা শেফিল্ড নামে পরিচিত হাওড়া। বাম জমানায় কার্যত ভেঙে পড়েছিল হাওড়ার শিল্প। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে হাওড়ার শিল্প কারখানাগুলি। আগামী দু’বছরে হাওড়ায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ১২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। সেখানে প্রায় দেড় লাখ কর্মসংস্থান হবে। মঙ্গলবার হাওড়ার শরৎসদনে আয়োজিত সিনার্জি থেকে এমনটাই চূড়ান্ত হল। সিনার্জিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়, সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত পাল, গৌতম চৌধুরি, নন্দিতা চৌধুরি, কল্যাণ ঘোষ, প্রিয়া পাল, বিদেশ বসু, হাওড়ার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পাণ্ডে, জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ আরও অনেকে।
এদিনের সিনার্জি থেকে হাওড়ায় শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে শিল্পপতিদের কী কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। সিনার্জিতে ১০টি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ তৈরির প্রস্তাব পেশ করা হয়। তার মধ্যে দু’টি এদিনই অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কটন মিল ও বাগনান-উলুবেড়িয়া রোডের ধারে ফসমিল প্ল্যান্ট। এখানে গড়ে উঠবে দুটি শিল্পতালুক। আড়াই কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকারের তরফে এখানে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এরই সঙ্গে তিনটে জমিকেও ‘শিল্প পার্ক’ গড়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়। দেড় লাখ নতুন কর্মসংস্থান হবে।