ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে, অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর, এখন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর পুরী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। ক্রমশ: এ’টি আরো দুর্বল হ’য়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ওড়িশা উপকূল ধ’রে সেটি প্রবেশ করবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। এর প্রভাবে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় উপমহানির্দেশক ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃষ্টি আগামীকাল’ও চলবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জাওয়াদের সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছে কাকদ্বীপ মহকুমায়।আমাদের জেলা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের পাশাপাশি অমাবস্যার কোটালের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে বা উপচে, বসতি এলাকায় জল ঢুকেছে। মুড়িগঙ্গায় ডুবে গেছে কচুবেড়িয়া ঘাটে নোঙ্গড় করা, মাল বোঝাই একটি নৌকো। নামখানার মৌসুনি দ্বীপের বালিয়ারায় ১০০ মিটার নদীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চিনাই নদীর জল ঢুকে, পুকুর, চাষের জমি, নতুন গড়ে ওঠা ‘হোম-স্টে’, কটেজ, সব ভেসে গেছে। বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে, নামখানার নারায়ণগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর এবং সাগরের মহিষমারিতে। গোসাবার কুমিরমারিতে’ও, বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন, সেচ দপ্তরকে দ্রুত বাঁধ মেরামত করতে বলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বেড়েছে। দীঘা, মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। আমাদের জেলা সংবাদদাতা জানিয়েছেন। কলকাতাতেও, সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে ফেরী-পরিষেবা।