দীর্ঘ 20 মাস পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যদিও SDF মনে করে, করোনা বিধি মেনে অনেক আগেই স্কুল খোলা সম্ভব ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে SDF এর কিছু প্রস্তাব ও আবেদন :
দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামগ্রিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। তা আরো প্রকট হয়েছে গ্রাম ও শহরের online পড়াশোনার সুযোগ না পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে। শহরের বেসরকারি স্কুলে পড়া ছাত্র- ছাত্রীদের তুলনায় গ্রাম ও শহরের সরকারী স্কুলের মধ্যে তথাৎ অনেক বেড়ে গেছে ও যাচ্ছে। স্কুল খুললে এই তফাৎ কিছুটা হলেও কমতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে জুলাই মাস থেকেই কিছু কিছু রাজ্যের স্কুল খুলতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সাথে আমরাও তখনই এ রাজ্যের সরকারের কাছে স্কুল খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। মানুষ চাইছে না এই অজুহাতে সরকার তখন স্কুল খোলার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে।বিলম্বে হলেও আগামী 16 নভেম্বর থেকে স্কুল শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে । এমন সময় এই সিদ্ধান্ত যখন টেস্টের সংখ্যা ভীষণভাবে কমিয়ে এবং RTPCR যেখানে প্রয়োজন সেখানে RAT করার ফলে বাস্তব কোভিড পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়।তা সত্বেও অতিমারীর মধ্যে দূর্গোৎসবকে উৎসাহীত করা সহ উপনির্বাচনের উন্মাদনার ফলে বতর্মানে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করেছে। অবশ্যই আগামী 16 নভেম্বর পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।
এই দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার সময়েও শিশুদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বড়দের প্রায় সমান(সামান্য কম)। Vaccine না নিয়ে ও এই শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এতদসত্বেও অতিমারির এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতো থেকেই যায়। তবুও বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বৃহত্তর স্বার্থে একশ শতাংশ কোভিড প্রোটোকল সুনিশ্চিত করতে পারলে স্কুলের পঠন পাঠন অবশ্যই সম্ভব হতে পারে। RTPCR টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করে করোনার বাস্তব সংখ্যাটা সত্বর বোঝার চেষ্টা করা দরকার। এবং সেই মোতাবেক কঠোরভাবে কোভিড বিধি যাতে প্রয়োগ করা হয় তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব ও সরকারকেই নিতে হবে।