লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে আজ ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। গত জুলাই মাসের শেষ দিন বাবুল ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও তখন জানিয়েছিলেন, আসানসোলবাসীর কাজ করতে সাংসদ পদ ছাড়বেন না। কিন্তু প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও আর থাকবেন না তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই জানিয়েদেন, তিনি আসানসোলের সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন। সেই কথা মতো আজ তিনি ইস্তফা দেন।সাংসদ পদ ছাড়ার পর তাঁর যে মন ভারাক্রান্ত, সে কথা জানান তিনি। পাশাপাশি বাবুল জানান, রাজনীতির বাইরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বন্ধুসম। বাবুলের কথায়, ‘‘কয়েক মাস আগে পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। রাজনীতির বাইরে তিনি আমার বন্ধু। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তাঁকেও তো আমার সম্পর্কে কঠোর বাক্য প্রয়োগ করতে হয়। তবে, শুভেন্দুর উচিত তাঁর বাবা ও ভাইকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া। কারণ তাঁরা তো আর তৃণমূলে নেই।’’ সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে শিশির-দিব্যেন্দুকে টেনে শুভেন্দুকে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র।বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী যদিও বাবুলের মন্তব্যের বিষয়টিকে উপেক্ষাই করছেন। ‘‘আমি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডার কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিজেপি থেকে। তাই আজ শেষ দিন মন ভারাক্রান্ত” এমনটাও জানান বাবুল।
শুভেন্দুর উচিত তাঁর বাবা ও ভাইকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া: বাবুল
বুধবার,২০/১০/২০২১
769